আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৪- শর্তাবলীর বিধান সংক্রান্ত অধ্যায়
২৫৪১। কুতাইবা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা ও যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি, আমার ব্যাপারে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করুন।’ তখন তার প্রতিপক্ষ, যে তার তুলনায় সমঝদার সে বলল, ‘হ্যাঁ, আপনি আমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং (আমাকে ঘটনাটি খুলে বলার) অনুমতি দিন।’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘বল’। সে বলল, আমার ছেলে এর কাছে মজুর ছিল। সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, আমার ছেলের উপর রজম প্রযোজ্য। তখন আমি তাকে (ছেলেকে) একশ’ বকরী এবং একটি বাদীর বিনিময়ে তার কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনেছি।
পরে আমি আলিমদের জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা আমাকে জানালেন যে, আমার ছেলের দন্ড হল একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন। আর স্ত্রীর দন্ড রজম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করব।’ বাদীঁ এবং একশ’ বকরী তোমাকে ফেরত দেওয়া হবে। আর তোমার ছেলের দন্ড একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন। হে উনায়স। আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর কাছে যাবে। যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে রজম করবে। (রাবী বলেন) উনায়স (রাযিঃ) পরদিন সকালে সে স্ত্রীলোকের কাছে গেলেন। সে যিনার অপরাধ স্বীকার করল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন এবং তাকে রজম করা হল।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন