আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২৬- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়

হাদীস নং: ২০৯৩
আন্তর্জতিক নং: ২২৩৫

পরিচ্ছেদঃ ১৩৮৬. ইসতিবরা অর্থাৎ জরায়ু গর্ভমুক্ত কি-না তা জানার পূর্বে বাঁদীকে নিয়ে সফর করা। হাসান (বসরী) (রঃ) তাকে চুম্বন করা বা তার সাথে মিলামিশা করায় কোন দোষ মনে করেননা। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, সহবাসকৃত দাসীকে দান বা বিক্রি বা আযাদ করলে এক হায়য পর্যন্ত তার জরায়ু মুক্ত কি-না দেখতে হবে। কুমারীর বেলায় ইসতিবরার প্রয়োজন নেই। আতা (রঃ) বলেন, (অপর কর্তৃক) গর্ভবতী নিজ দাসীকে যৌনাঙ্গ ব্যতীত ভোগ করতে পারবে। আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত বাঁদী ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না......। (২৩:৬)

২০৯৩. আব্দুল গাফফার ইবনে দাউদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) খায়বর গমন করেন। যখন আল্লাহ্ তাআলা তাঁর পক্ষে দুর্গের বিজয় দান করেন, তখন তাঁর সামনে সাফিয়্যা (রাযিঃ) বিনতে হুয়ায়্যি ইবনে আখতাব এর সৌন্দর্যের আলোচনা করা হয়। তাঁর স্বামী নিহত হয় এবং তিনি তখন ছিলেন নব-বিবাহিতা। অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে নিজের জন্য গ্রহণ করে নেন। তিনি তাঁকে নিয়ে রওয়ানা হন। যখন আমরা সাদ্দা রাওহা নামক স্থানে উপনীত হলাম, তখন সাফিয়্যা (রাযিঃ) পবিত্র হলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাথে মিলিত হন।
তারপর চামড়ার ছোট দস্তরখানে হায়েস (খেজুরের ছাতু ও ঘি মিশ্রিত খাদ্য) তৈরী করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা আশেপাশের লোকদের উপস্থিত হওয়ার জন্য খবর দিয়ে দাও। এই ছিল সাফিয়্যা (রাযিঃ)-এর বিবাহে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক ওলীমা। এরপর আমরা মদীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখতে পেলাম যে, তাঁকে নিজের আবা’ দিয়ে ঘেরাও করে দিচ্ছেন। তারপর তিনি তাঁর উটের পাশে বসে হাঁটু মোবারক সোজা করে রাখলেন, পরে সাফিয়্যা (রাযিঃ) তাঁর হাঁটুর উপর পা দিয়ে ভর করে আরোহণ করলেন।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন