আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২৬- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
২০৩৪. আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বারীরা (রাযিঃ) আমার কাছে এসে বলল, আমি আমার মালিক পক্ষের সাথে নয় উকিয়া দেওয়ার শর্তে মুকাতাবা* করেছি। প্রতি বছর যা থেকে এক উকিয়া* করে দেওয়া হবে। আপনি (এ ব্যাপারে) আমাকে সাহায্য করুন। আমি বললাম, যদি তোমার মালিক পক্ষ পছন্দ করে যে, আমি তাদের একবারেই তা পরিশোধ করব এবং তোমার ওয়ালা-এর অধিকার আমার হবে, তবে আমি তা করব। তখন বারীরা (রাযিঃ) তার মালিকদের নিকট গেল এবং তাদের তা বলল। তারা তা অস্বীকার করল। বারীরা (রাযিঃ) তাদের নিকট থেকে (আমার কাছে) এল। আর তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সে বলল, আমি (আপনার) সে কথা তাদের কাছে পেশ করেছিলাম। কিন্তু তারা নিজেদের জন্য ওয়ালার অধিকার সংরক্ষণ ছাড়া রাযী হয়নি।
নবী করীম (ﷺ) তা শোনলেন, আয়িশা (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-কে তা সবিস্তারে জানালেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে নিয়ে নাও এবং তাদের জন্য ওয়ালার শর্ত মেনে নাও। কেননা, ওয়ালা এর হক তারই, যে আযাদ করে। আয়িশা (রাযিঃ) তাই করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জন সম্মুখে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্ তাআলার হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন।
তারপর বললেন, লোকদের কী হলো যে, তারা এমন শর্ত আরোপ করে, যা আল্লাহর বিধানে নেই। আল্লাহর বিধানে যে শর্তের উল্লেখ নেই, তা বাতিল বলে গণ্য হবে, শত শর্ত হলেও। মহান আল্লাহ্ তাআলার ফায়সালাই সঠিক, আল্লাহর শর্তই সুদৃঢ়। ওয়ালার হক তো তারই, যে আযাদ করে।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন