আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২৪- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২০১২
১২৫২. রমযান মাসে রাতের ইবাদতের (তারাবী, কিয়ামুল লাইল ও তাহাজ্জুদ) ফযীলত
১৮৮৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গভীর রাতে বের হয়ে মসজিদে নামায আদায় করেন, কিছু সংখ্যক পুরুষ তাঁর পিছনে নামায আদায় করেন। সকালে তারা এ সম্পর্কে আলোচনা করেন, ফলে লোকেরা অধিক সংখ্যায় সমবেত হন। তিনি নামায আদায় করেন এবং লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করেন। সকালে তাঁরা এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। তৃতীয় রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে নামায আদায় করেন ও লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করেন। চতুর্থ রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংকুলান হল না। কিন্তু তিনি রাতে আর বের না হয়ে ফজরের নামাযে বেরিয়ে আসলেন এবং নামায শেষে লোকদের দিকে ফিরে প্রথমে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য দেওয়ার পর বললেনঃ শোন! তোমাদের (গতরাতের) অবস্থান আমার অজানা ছিল না, কিন্তু আমি এই নামায তোমাদের উপর ফরয হয়ে যাবার আশঙ্কা করছি (বিধায় বের হই নাই)। কেননা তোমরা তা আদায় করায় অপারগ হয়ে পড়তে। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর ওফাত হল আর ব্যাপারটি এভাবেই থেকে যায়।
