আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২২- ওমরার অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৮
১১২০. উমরা আদায়কারী উমরার তাওয়াফ করে রওয়ানা হলে, তা কি তার জন্য বিদায়ী তাওয়াফের পরিবর্তে যথেষ্ট হবে?
১৬৭৩। আবু নু’আয়ম (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে হজ্জের ইহরাম বেঁধে বের হলাম, হজ্জের মাসে এবং হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালনের উদ্দেশ্যে। যখন সারিফ নামক স্থানে অবতরণ করলাম, তখন নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবাগণকে বললেনঃ যার সাথে কুরবানীর জানোয়ার নেই এবং সে এই ইহরামকে উমরায় পরিণত করতে চায়, সে যেন তা করে নেয় (অর্থাৎ উমরা করে হালাল হয়)। আর যার সাথে কুরবানীর জানোয়ার আছে সে এরূপ করবে না (অর্থাৎ হালাল হতে পারবে না)। নবী (ﷺ) ও তাঁর কয়েকজন সমর্থ সাহাবীর নিকট কুরবানীর জানোয়ার ছিল তাঁদের উমরা হয়নি।
[আয়িশা (রাযিঃ) বললেন] আমি কাঁদছিলাম, এমতাবস্থায় নবী (ﷺ) আমার নিকট এসে বললেনঃ তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আপনি আপনার সাহাবীগণকে যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি। আমি তো উমরা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে গেছি। নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমার কি অবস্থা? আমি বললাম, আমি তো নামায আদায় করছি না। তিনি বললেনঃ এতে তোমার ক্ষতি হবে না। তুমি তো একজন আদম কন্যাই। তাদের অদৃষ্টে যা লেখা ছিল তোমার জন্যও তা লিখিত হয়েছে। সুতরাং তুমি তোমার হজ্জ আদায় কর। সম্ভাবতঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে উমরাও দান করবেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি এ অবস্থায়ই থেকে গেলাম এবং পরে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করে মুহাসসাবে অবতরণ করলাম। তারপর নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান (রাযিঃ) কে ডেকে বললেনঃ তুমি তোমার বোনকে হারামের বাইরে নিয়ে যাও। সেখান থেকে যেন সে উমরার ইহরাম বাঁধে। তারপর তোমরা তাওয়াফ করে নিবে। আমি তোমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করব। আমরা মধ্যরাতে এলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কি তাওয়াফ সমাধা করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। এ সময় তিনি সাহাবীগণকে রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। তাই লোকজন এবং যাঁরা ফজরের পূর্বে তাওয়াফ করেছিলেন তাঁরা রওয়ানা হলেন। তারপর নবী (ﷺ) মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন।
[আয়িশা (রাযিঃ) বললেন] আমি কাঁদছিলাম, এমতাবস্থায় নবী (ﷺ) আমার নিকট এসে বললেনঃ তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আপনি আপনার সাহাবীগণকে যা বলেছেন, আমি তা শুনেছি। আমি তো উমরা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে গেছি। নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমার কি অবস্থা? আমি বললাম, আমি তো নামায আদায় করছি না। তিনি বললেনঃ এতে তোমার ক্ষতি হবে না। তুমি তো একজন আদম কন্যাই। তাদের অদৃষ্টে যা লেখা ছিল তোমার জন্যও তা লিখিত হয়েছে। সুতরাং তুমি তোমার হজ্জ আদায় কর। সম্ভাবতঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে উমরাও দান করবেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি এ অবস্থায়ই থেকে গেলাম এবং পরে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করে মুহাসসাবে অবতরণ করলাম। তারপর নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান (রাযিঃ) কে ডেকে বললেনঃ তুমি তোমার বোনকে হারামের বাইরে নিয়ে যাও। সেখান থেকে যেন সে উমরার ইহরাম বাঁধে। তারপর তোমরা তাওয়াফ করে নিবে। আমি তোমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করব। আমরা মধ্যরাতে এলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কি তাওয়াফ সমাধা করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। এ সময় তিনি সাহাবীগণকে রওয়ানা হওয়ার ঘোষণা দিলেন। তাই লোকজন এবং যাঁরা ফজরের পূর্বে তাওয়াফ করেছিলেন তাঁরা রওয়ানা হলেন। তারপর নবী (ﷺ) মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন।
