আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৬৫৭
আন্তর্জতিক নং: ১৭৭১

পরিচ্ছেদঃ ১১১১. মুহাসসাব থেকে শেষ রাতে রওয়ানা হওয়া

১৬৫৭। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যাবর্তনের দিন সাফিয়্যা (রাযিঃ) এর ঋতু দেখা দিলে তিনি বললেন, আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাদেরকে আটকিয়ে ফেললাম। নবী (ﷺ) তা শুনে আকরা’, ‘হালকা’ বলে বিরক্তি প্রকাশ করলেন এবং বললেনঃ সে কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করেছে? বলা হল, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তবে চল।
আবু আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রাহঃ)] অন্য সূত্রে বর্ণনা করেন, মুহাম্মাদ ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। হজ্জ আদায় করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা (মক্কায়) আসলাম, তখন আমাদের হালাল হওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর প্রত্যাবর্তনের রাত এলে সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-এর ঋতু আরম্ভ হল। নবী (ﷺ) ‘হালকা’ আকরা’, বলে বিরক্তি প্রকাশ করে বললেনঃ আমার ধারণা, সে তোমাদের আটকিয়েই ফেলবে। তারপর বললেনঃ তুমি কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করেছিলে? সাফিয়্যা (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তবে চল। আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো (উমরা আদায় করে) হালাল হইনি। তিনি বললেনঃ তাহলে এখন তুমি তানঈম থেকে উমরা আদায় করে নাও। তারপর তাঁর সঙ্গে তার ভাই [আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ)] গেলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, (উমরা আদায় করার পর) নবী (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত হয়, যখন তিনি শেষ রাতে (বিদায়ী তাওয়াফের জন্য) যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ অমুক স্থানে তোমারা সাক্ষাত করবে।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন