আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
আয়িশা (রাযিঃ) ইহরাম অবস্থায় কুসুমী রং্গে রঞ্জিত কাপড় পরেন এবং তিনি বলেন, নারীগণ ঠোঁট ও মুখমণ্ডল আবৃত করবে না। ওয়ারস ও জাফরান রং্গে রঞ্জিত কাপড়ও পরবে না।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি উসফুরী (কুসুমী) রং কে সুগন্ধি মনে করি না।
আয়িশা (রাযিঃ) (ইহরাম অবস্থায়) নারীদের অলঙ্কার পরা এবং কাল ও গোলাপী রং এর কাপড় ও মোজা পরা দুষনীয় মনে করেন নি।
ইবরাহীম (নাখয়ী) (রাহঃ) বলেন, (ইহরাম অবস্থায়) পরনের কাপড় পরিবর্তন করায় কোন দোষ নেই।
১৪৫২। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দামী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ চুল আঁচড়িয়ে, তেল মেখে, লুঙ্গি ও চাঁদর পরে (হজ্জের উদ্দেশ্যে) মদীনা থেকে রওয়ানা হন। তিনি কোন প্রকার চাঁদর বা লুঙ্গি পরতে নিষেধ করেন নি, তবে শরীরের চামড়া রঞ্জিত হয়ে যেতে পারে এরূপ জাফরানী রংের কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। যুল হুলাইফা থেকে সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়দা নামক স্থানে পৌঁছে তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ তালবিয়া পাঠ করেন এবং কুরবানীর উটের গলায় মালা ঝুলিয়ে দেন, তখন যুলকা‘দা মাসের পাঁচদিন অবশিষ্ট ছিল।
যিলহজ্জ মাসের চতুর্থ দিনে মক্কায় উপনীত হয়ে সর্বপ্রথম কাবাঘরের তাওয়াফ করে সাফা ও মারওয়ার মাঝে সা‘য়ী করেন। তাঁর কুরবানীর উটের গলায় মালা পরিয়েছেন বলে তিনি ইহরাম খুলেন নি। তারপর মক্কার উঁচু ভূমিতে হাজূন নামক স্থানের নিকটে অবস্থান করেন, তখন তিনি হজ্জের ইহরামের অবস্থায় ছিলেন। (প্রথমবার) তাওয়াফ করার পর আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন করার পূর্বে আর কাবার নিকটবর্তী হন নি। অবশ্য তিনি সাহাবাগণকে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা‘য়ী সম্পাদনা করে মাথার চুল ছেটে হালাল হতে নির্দেশ দেন। কেননা যাদের সাথে কুরবানীর জানোয়ার নেই, এ বিধানটি কেবল তাদের ক্ষেত্রে প্রয্যেজ্য। আর যার সাথে তার স্ত্রী রয়েছে তার জন্য স্ত্রী-সহবাস, সুগন্ধি ব্যবহার ও যে কোন ধরনের কাপড় পরা বৈধ।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন