আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২০- যাকাতের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২১
৮৯৪. পরিচ্ছেদঃ প্রকাশ্যে সাদ্‌কা করা।
আল্লাহর বাণীঃ যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তাদের সাওয়াব তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবেনা। (২ঃ ২৭৪)
পরিচ্ছেদঃ ৮৯৫. গোপনে সাদ্‌কা করা।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি গোপনে সাদ্‌কা করলো এমনভাবে যে, তার ডান হাত যা ব্যয় করেছে বাম হাত তা জানতে পারেনি।
এবং আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যদি প্রকাশ্যে সাদ্‌কা কর তবে তা ভালো আর যদি তা গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তকে দাও তবে তা তোমাদের জন্য আরো ভালো এবং তিনি তোমাদের কিছু কিছু পাপমোচন করবেন, তোমরা যা কর আল্লাহ তা সম্যক অবহিত। (২:২৭১)
পরিচ্ছেদঃ ৮৯৬. সাদ্‌কাদাতা অজান্তে (ফকীর মনে করে) কোন ধনী ব্যক্তিকে সাদ্‌কা দিলে।
১৩৩৮। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ (পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যে) এক ব্যক্তি বলল, আমি কিছু সাদ্‌কা করব। সাদ্‌কা নিয়ে বের হয়ে (ভুলে) সে এক চোরের হাতে তা দিয়ে দিল। সকালে লোকেরা বলাবলি করতে লাগলো, চোরকে সাদ্‌কা দেওয়া হয়েছে। এতে সে বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনারই, আমি অবশ্যই সাদ্‌কা করব। সাদ্‌কা নিয়ে বের হয়ে তা এক ব্যভিচারিণীর হাতে দিল। সকালে লোকেরা বলাবলি করতে লাগলো, রাতে এক ব্যভিচারিণীকে সাদ্‌কা দেওয়া হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনারই, (আমার সাদ্‌কা) ব্যভিচারিণীর হাতে পৌঁছল। আমি অবশ্যই সাদ্‌কা করব। এরপর সে সাদ্‌কা নিয়ে বের হয়ে কোন এক ধনী ব্যক্তির হাতে দিল। সকালে লোকেরা বলাবলি করতে লাগলো, ধনী ব্যক্তিকে সাদ্‌কা দেওয়া হয়েছে। লোকটি বলল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনারই, (আমার সাদ্‌কা) চোর, ব্যভিচারিণী ও ধনী ব্যক্তির হাতে গিয়ে পড়লো! পরে স্বপ্নযোগে তাকে বলা হল, তোমার সাদ্‌কা চোর পেয়েছে, সম্ভবত সে চুরি করা থেকে বিরত থাকবে, তোমার সাদ্‌কা ব্যভিচারিণী পেয়েছে সম্ভবত এজন্য যে, সে তার ব্যভিচার থেকে পবিত্র থাকবে আর ধনী ব্যক্তি তোমার সাদ্‌কা পেয়েছে, সম্ভবত সে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং আল্লাহর দেওয়া সম্পদ থেকে সাদ্‌কা করবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন