আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৩. খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬২৩
২১. হত্যার কিসাস লওয়া
মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, মারওয়ান ইবনে হাকাম (রাহঃ) মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফয়ান (রাযিঃ)-এর নিকট লিখিলেন, এক ব্যক্তি মাতাল অবস্থায় কাহাকেও হত্যা করিল। মুয়াবিয়া (রাযিঃ) তাহাকে লিখিলেন, তুমিও তাহাকে হত্যা কর।
মালিক (রাহঃ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ
এই আয়াতের আমি উক্ত তফসীর যাহা শুনিয়াছি তাহা এই, এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলিয়াছেন, স্বাধীনের পরিবর্তে স্বাধীন ব্যক্তিকে, দাসের পরিবর্তে দাসকে, স্ত্রীলোকের পরিবর্তে স্ত্রীলোককে হত্যা কর। অতএব স্ত্রীদের মধ্যেও পুরুষদের মতো কিসাস লওয়া হইবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলিয়াছেনঃ
وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيهَا أَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالأَنْفَ بِالأَنْفِ وَالأُذُنَ بِالأُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّ وَالْجُرُوحَ قِصَاصٌ
অর্থাৎ প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ, চক্ষুর পরিবর্তে চক্ষু, নাকের পরিবর্তে নাক, কানের পরিবর্তে কান, দাঁতের পরিবর্তে দাঁত, ক্ষতের পরিবর্তে ক্ষত। অতএব, পুরুষের পরিবর্তে স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবর্তে পুরুষ হত্যা করা হইবে। এইরূপ যখন একে অন্যকে যখম করে তখনও কিসাস লওয়া হইবে। মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কেহ কাহাকেও ধরিয়া ফেলে আর দ্বিতীয় ব্যক্তি আসিয়া তাহাকে হত্যা করে আর যদি সাব্যস্ত হয় যে, ঐ ব্যক্তিও তাহাকে হত্যা করার জন্য ধরিয়াছিল, তবে তাহার পরিবর্তে উভয়কে হত্যা করিতে হইবে। যদি ঐ ব্যক্তি তাহাকে মারিয়া ফেলার জন্য না ধরিয়া থাকে, বরং তাহার ইচ্ছা ছিল দ্বিতীয় ব্যক্তি যাহাকে সে ধরিয়াছে তাহাকে সাধারণভাবে প্রহার করিবে, তবে এই অবস্থায় এই ব্যক্তি হত্যার পরিবর্তে কঠিন শাস্তির উপযুক্ত হইবে। আর শাস্তির পর এক বৎসর বন্দী থাকিবে। আর হত্যাকারীকে হত্যা করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ইচ্ছা করিয়া হত্যা করিল অথবা তাহার চক্ষু নষ্ট করিয়া ফেলিল। এখন হত্যাকারী হইতে কিসাস লওয়ার পূর্বেই তাহাকে অন্য এক ব্যক্তি হত্যা করিয়া বসিল বা তাহার চক্ষু নষ্ট করিয়া দিল; এই অবস্থায় তাহার উপর দিয়াত বা কিসাস কিছুই বর্তিবে না। কেননা যাহাকে হত্যা করা হইয়াছিল তাহার হক ছিল হত্যাকারীর প্রাণে বা চক্ষুতে। এখন হত্যাকারী ব্যক্তিও নাই, তাহার চক্ষুও নাই।
ইহার উপমা এইরূপ, যেমন যদি এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ইচ্ছা করিয়া হত্যা করে আর হত্যাকারী নিজেই মরিয়া যায় এখন হত্যাকাণ্ডে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের কিছুই মিলিবে না। কেননা যখন হত্যাকারীই মরিয়া গেল এখন না কিসাস রহিল, না দিয়াত।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন দাস স্বেচ্ছায় স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করে সেই দাসকে হত্যা করা হইবে । যদি স্বাধীন ব্যক্তি কোন দাসকে স্বেচ্ছায় হত্যা করে তবে স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করা হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ
এই আয়াতের আমি উক্ত তফসীর যাহা শুনিয়াছি তাহা এই, এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলিয়াছেন, স্বাধীনের পরিবর্তে স্বাধীন ব্যক্তিকে, দাসের পরিবর্তে দাসকে, স্ত্রীলোকের পরিবর্তে স্ত্রীলোককে হত্যা কর। অতএব স্ত্রীদের মধ্যেও পুরুষদের মতো কিসাস লওয়া হইবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলিয়াছেনঃ
وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيهَا أَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالأَنْفَ بِالأَنْفِ وَالأُذُنَ بِالأُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّ وَالْجُرُوحَ قِصَاصٌ
অর্থাৎ প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ, চক্ষুর পরিবর্তে চক্ষু, নাকের পরিবর্তে নাক, কানের পরিবর্তে কান, দাঁতের পরিবর্তে দাঁত, ক্ষতের পরিবর্তে ক্ষত। অতএব, পুরুষের পরিবর্তে স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবর্তে পুরুষ হত্যা করা হইবে। এইরূপ যখন একে অন্যকে যখম করে তখনও কিসাস লওয়া হইবে। মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কেহ কাহাকেও ধরিয়া ফেলে আর দ্বিতীয় ব্যক্তি আসিয়া তাহাকে হত্যা করে আর যদি সাব্যস্ত হয় যে, ঐ ব্যক্তিও তাহাকে হত্যা করার জন্য ধরিয়াছিল, তবে তাহার পরিবর্তে উভয়কে হত্যা করিতে হইবে। যদি ঐ ব্যক্তি তাহাকে মারিয়া ফেলার জন্য না ধরিয়া থাকে, বরং তাহার ইচ্ছা ছিল দ্বিতীয় ব্যক্তি যাহাকে সে ধরিয়াছে তাহাকে সাধারণভাবে প্রহার করিবে, তবে এই অবস্থায় এই ব্যক্তি হত্যার পরিবর্তে কঠিন শাস্তির উপযুক্ত হইবে। আর শাস্তির পর এক বৎসর বন্দী থাকিবে। আর হত্যাকারীকে হত্যা করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ইচ্ছা করিয়া হত্যা করিল অথবা তাহার চক্ষু নষ্ট করিয়া ফেলিল। এখন হত্যাকারী হইতে কিসাস লওয়ার পূর্বেই তাহাকে অন্য এক ব্যক্তি হত্যা করিয়া বসিল বা তাহার চক্ষু নষ্ট করিয়া দিল; এই অবস্থায় তাহার উপর দিয়াত বা কিসাস কিছুই বর্তিবে না। কেননা যাহাকে হত্যা করা হইয়াছিল তাহার হক ছিল হত্যাকারীর প্রাণে বা চক্ষুতে। এখন হত্যাকারী ব্যক্তিও নাই, তাহার চক্ষুও নাই।
ইহার উপমা এইরূপ, যেমন যদি এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে ইচ্ছা করিয়া হত্যা করে আর হত্যাকারী নিজেই মরিয়া যায় এখন হত্যাকাণ্ডে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের কিছুই মিলিবে না। কেননা যখন হত্যাকারীই মরিয়া গেল এখন না কিসাস রহিল, না দিয়াত।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন দাস স্বেচ্ছায় স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করে সেই দাসকে হত্যা করা হইবে । যদি স্বাধীন ব্যক্তি কোন দাসকে স্বেচ্ছায় হত্যা করে তবে স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করা হইবে না।
باب الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ كَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ يَذْكُرُ أَنَّهُ أُتِيَ بِسَكْرَانَ قَدْ قَتَلَ رَجُلًا فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ أَنْ اقْتُلْهُ بِهِ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآيَةِ قَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ فَهَؤُلَاءِ الذُّكُورُ وَالْأُنْثَى بِالْأُنْثَى أَنَّ الْقِصَاصَ يَكُونُ بَيْنَ الْإِنَاثِ كَمَا يَكُونُ بَيْنَ الذُّكُورِ وَالْمَرْأَةُ الْحُرَّةُ تُقْتَلُ بِالْمَرْأَةِ الْحُرَّةِ كَمَا يُقْتَلُ الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْأَمَةُ تُقْتَلُ بِالْأَمَةِ كَمَا يُقْتَلُ الْعَبْدُ بِالْعَبْدِ وَالْقِصَاصُ يَكُونُ بَيْنَ النِّسَاءِ كَمَا يَكُونُ بَيْنَ الرِّجَالِ وَالْقِصَاصُ أَيْضًا يَكُونُ بَيْنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيهَا أَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالْأَنْفَ بِالْأَنْفِ وَالْأُذُنَ بِالْأُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّ وَالْجُرُوحَ قِصَاصٌ فَذَكَرَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى أَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ فَنَفْسُ الْمَرْأَةِ الْحُرَّةِ بِنَفْسِ الرَّجُلِ الْحُرِّ وَجُرْحُهَا بِجُرْحِهِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُمْسِكُ الرَّجُلَ لِلرَّجُلِ فَيَضْرِبُهُ فَيَمُوتُ مَكَانَهُ أَنَّهُ إِنْ أَمْسَكَهُ وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ يُرِيدُ قَتْلَهُ قُتِلَا بِهِ جَمِيعًا وَإِنْ أَمْسَكَهُ وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ إِنَّمَا يُرِيدُ الضَّرْبَ مِمَّا يَضْرِبُ بِهِ النَّاسُ لَا يَرَى أَنَّهُ عَمَدَ لِقَتْلِهِ فَإِنَّهُ يُقْتَلُ الْقَاتِلُ وَيُعَاقَبُ الْمُمْسِكُ أَشَدَّ الْعُقُوبَةِ وَيُسْجَنُ سَنَةً لِأَنَّهُ أَمْسَكَهُ وَلَا يَكُونُ عَلَيْهِ الْقَتْلُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقْتُلُ الرَّجُلَ عَمْدًا أَوْ يَفْقَأُ عَيْنَهُ عَمْدًا فَيُقْتَلُ الْقَاتِلُ أَوْ تُفْقَأُ عَيْنُ الْفَاقِئِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَصَّ مِنْهُ أَنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ دِيَةٌ وَلَا قِصَاصٌ وَإِنَّمَا كَانَ حَقُّ الَّذِي قُتِلَ أَوْ فُقِئَتْ عَيْنُهُ فِي الشَّيْءِ بِالَّذِي ذَهَبَ وَإِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يَقْتُلُ الرَّجُلَ عَمْدًا ثُمَّ يَمُوتُ الْقَاتِلُ فَلَا يَكُونُ لِصَاحِبِ الدَّمِ إِذَا مَاتَ الْقَاتِلُ شَيْءٌ دِيَةٌ وَلَا غَيْرُهَا وَذَلِكَ لِقَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُتِبَ عَلَيْكُمْ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ قَالَ مَالِك فَإِنَّمَا يَكُونُ لَهُ الْقِصَاصُ عَلَى صَاحِبِهِ الَّذِي قَتَلَهُ وَإِذَا هَلَكَ قَاتِلُهُ الَّذِي قَتَلَهُ فَلَيْسَ لَهُ قِصَاصٌ وَلَا دِيَةٌ قَالَ مَالِك لَيْسَ بَيْنَ الْحُرِّ وَالْعَبْدِ قَوَدٌ فِي شَيْءٍ مِنْ الْجِرَاحِ وَالْعَبْدُ يُقْتَلُ بِالْحُرِّ إِذَا قَتَلَهُ عَمْدًا وَلَا يُقْتَلُ الْحُرُّ بِالْعَبْدِ وَإِنْ قَتَلَهُ عَمْدًا وَهُوَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: