আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩২. শরীকী কারবারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৮৭
১. কিরায* সম্বন্ধে রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ১. যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর দুই পুত্র আব্দুল্লাহ ও উবায়দুল্লাহ্ জিহাদের উদ্দেশ্যে এক কাফেলার সহিত ইরাক যাত্রা করিলেন। ফিরিবার সময় তাহারা আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন। তিনি তখন বসরার আমীর ছিলেন। তিনি তাহাদের স্বাগতম জানাইয়া বলিলেন, যদি আমি তোমাদের কোন উপকার করিতে পারিতাম তাহা হইলে নিশ্চয়ই তাহা করিতাম। ঠিক আছে আমার নিকট আল্লাহর কিছু সম্পদ রহিয়াছে, আমি উহা আমীরুল মু'মিনীনের নিকট পাঠাইতে ইচ্ছা করিয়াছি। আমি উহা তোমাদিগকে দিয়া দিতেছি। তোমরা উহা দ্বারা ইরাক হইতে কিছু বস্তু খরিদ করিয়া লও, পরে উহা মদীনায় বিক্রয় করিয়া কিছু মুনাফা অর্জন করিতে পার। তাহারা বলিলেন, আমরাও তাহাই চাহিতেছি। পরে আবু মুসা তাহাই করিলেন এবং উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে লিখিয়া পাঠাইলেন যে, তাহাদের নিকট হইতে মূলধন লইয়া লইবেন। তাহারা মদীনায় পৌছিয়া ঐ বস্তু বিক্রয় করিয়া অনেক মুনাফা অর্জন করিলেন। মূল অর্থ লইয়া উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হইলেন। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, আবু মুসা কি প্রত্যেক সৈনিককে এত অর্থ ঋণ দিয়াছেন? তাহারা বললেন, না। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, তিনি তোমাদিগকে আমীরুল মু’মিনীনের পুত্র হিসাবে এই অর্থ দিয়াছেন। তোমরা মূল অর্থ এবং মুনাফা উভয়টাই আদায় কর। শুনিয়া আব্দুল্লাহ তো চুপ করিয়া রহিলেন। কিন্তু উবায়দুল্লাহ বলিলেন, আমীরুল মু’মিনীন, আপনার এইরূপ করা উচিত হইবে না। কারণ যদি এই অর্থ নষ্ট হইয়া যাইত বা ক্ষতি হইত, তবে আমরা উহার জন্য জিম্মাদার হইতাম। উমর (রাযিঃ) বলিলেন, না তোমরা সমস্তই দিয়া দাও। আব্দুল্লাহ চুপই রহিলেন কিন্তু উবায়দুল্লাহ্ তাহার উক্তির পুনরাবৃত্তি করিলেন। তখন উমর (রাযিঃ)-এর উপদেষ্টা (আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) বলিলেন, আমীরুল মু’মিনীন! এই ব্যাপারকে বা’য়ই-মুযারাবা সাব্যস্ত করিতে পারেন, ইহাই উত্তম হইবে। উমর (রাযিঃ) বলিলেন, উহাই সাব্যস্ত করিলাম। পরে তিনি মূলধন এবং অর্ধেক মুনাফা গ্রহণ করিলেন আর অর্ধেক মুনাফা গ্রহণ করিলেন আব্দুল্লাহ ও উবায়দুল্লাহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاضِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ وَعُبَيْدُ اللَّهِ ابْنَا عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي جَيْشٍ إِلَى الْعِرَاقِ فَلَمَّا قَفَلَا مَرَّا عَلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ وَهُوَ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ فَرَحَّبَ بِهِمَا وَسَهَّلَ ثُمَّ قَالَ لَوْ أَقْدِرُ لَكُمَا عَلَى أَمْرٍ أَنْفَعُكُمَا بِهِ لَفَعَلْتُ ثُمَّ قَالَ بَلَى هَاهُنَا مَالٌ مِنْ مَالِ اللَّهِ أُرِيدُ أَنْ أَبْعَثَ بِهِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأُسْلِفُكُمَاهُ فَتَبْتَاعَانِ بِهِ مَتَاعًا مِنْ مَتَاعِ الْعِرَاقِ ثُمَّ تَبِيعَانِهِ بِالْمَدِينَةِ فَتُؤَدِّيَانِ رَأْسَ الْمَالِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَيَكُونُ الرِّبْحُ لَكُمَا فَقَالَا وَدِدْنَا ذَلِكَ فَفَعَلَ وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمَا الْمَالَ فَلَمَّا قَدِمَا بَاعَا فَأُرْبِحَا فَلَمَّا دَفَعَا ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ قَالَ أَكُلُّ الْجَيْشِ أَسْلَفَهُ مِثْلَ مَا أَسْلَفَكُمَا قَالَا لَا فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ابْنَا أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأَسْلَفَكُمَا أَدِّيَا الْمَالَ وَرِبْحَهُ فَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ فَسَكَتَ وَأَمَّا عُبَيْدُ اللَّهِ فَقَالَ مَا يَنْبَغِي لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَذَا لَوْ نَقَصَ هَذَا الْمَالُ أَوْ هَلَكَ لَضَمِنَّاهُ فَقَالَ عُمَرُ أَدِّيَاهُ فَسَكَتَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَاجَعَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ جُلَسَاءِ عُمَرَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ جَعَلْتَهُ قِرَاضًا فَقَالَ عُمَرُ قَدْ جَعَلْتُهُ قِرَاضًا فَأَخَذَ عُمَرُ رَأْسَ الْمَالِ وَنِصْفَ رِبْحِهِ وَأَخَذَ عَبْدُ اللَّهِ وَعُبَيْدُ اللَّهِ ابْنَا عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ نِصْفَ رِبْحِ الْمَالِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান