আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩১. ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যাবসার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৩৫
২২. পরস্পরে বৃদ্ধি ব্যতীত খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
রেওয়ায়ত ৫১. সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) বলেনঃ সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাযিঃ)-এর গাধার খাদ্য নিঃশেষ হইয়া গেলে তিনি স্বীয় খাদেমকে বলিলেন-তোমার পরিজনের নিকট হইতে গম লও, তারপর উহার বিনিময়ে যব খরিদ করিয়া আন, পরিমাপে উহার সমান গ্রহণ করিও।
بَاب بَيْعِ الطَّعَامِ بِالطَّعَامِ لَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ قَالَ فَنِيَ عَلَفُ حِمَارِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ لِغُلَامِهِ خُذْ مِنْ حِنْطَةِ أَهْلِكَ فَابْتَعْ بِهَا شَعِيرًا وَلَا تَأْخُذْ إِلَّا مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৩৬
২২. পরস্পরে বৃদ্ধি ব্যতীত খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
রেওয়ায়ত ৫২. আব্দুর রহমান ইবনে আসওয়াদ ইবনে আব্দ-ই ইয়াগুস-এর জানোয়ারের খাদ্য ফুরাইয়া গেল। তিনি স্বীয় খাদেমকে বলিলেন, তোমার পরিজনের গম হইতে কিছু গম লও। তারপর উহার বিনিময়ে যব খরিদ কর, পরিমাপে উহার সমান লইও।
بَاب بَيْعِ الطَّعَامِ بِالطَّعَامِ لَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ فَنِيَ عَلَفُ دَابَّتِهِ فَقَالَ لِغُلَامِهِ خُذْ مِنْ حِنْطَةِ أَهْلِكَ طَعَامًا فَابْتَعْ بِهَا شَعِيرًا وَلَا تَأْخُذْ إِلَّا مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৩৩৭
২২. পরস্পরে বৃদ্ধি ব্যতীত খাদ্যদ্রব্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা
রেওয়ায়ত ৫৩. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) এবং ইবনে মুয়াইকীব দাওসী (রাহঃ) হইতেও অনুরূপ রেওয়ায়ত বর্ণিত হইয়াছে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকটও হুকুম অনুরূপ।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা হইল, গমের বিনিময়ে গম, খুর্মার বিনিময়ে খুর্মা, খুর্মার বিনিময়ে গম, কিশমিশের বিনিময়ে খুর্মা এবং যাবতীয় খাদ্যশস্য নগদ ছাড়া বিক্রয় করা বৈধ হইবে না, (উল্লেখিত বস্তুর) কোন একটিতে যদি মেয়াদ প্রবেশ করে অর্থাৎ ধারে বিক্রয় করা হয় তবে ইহা বৈধ হইবে না (বরং) ইহা হারাম হইবে। (অনুরূপ) ব্যঞ্জনে ব্যবহৃত যাবতীয় বস্তুকেও নগদ ছাড়া বিক্রয় করা যাইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ খাদ্যদ্রব্য ব্যঞ্জনসমূহ হইতে কোন খাদ্যদ্রব্য কিংবা ব্যঞ্জনকে যদি উহা এক জাতীয় হয় তবে একের বিনিময়ে দুইটি বিক্রয় করা যাইবে না এবং এক মুদ্ গমের বিনিময়ে বিক্রয় করা যাইবে না। (অনুরূপ) এক মুদ্ খুর্মা বিক্রয় করা যাইবে না দুই মুদ খুর্মার বিনিময়ে, আর এক মুদ্ কিশমিশকে দুই মুদ্ কিশমিশের বিনিময়ে বিক্রয় করা যাইবে না। (উপরে বর্ণিত বস্তুসমূহের) সদৃশ যাবতীয় শস্য ও ব্যঞ্জনাদি যদি এক জাতীয় হয় (উহাকেও) (অনুরূপ)-বিক্রয় করা যাইবে না, নগদ বিক্রি হইলেও। কারণ ইহা হইতেছে চাঁদির বিনিময়ে চাঁদির, স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ বিক্রয় করার মতো, এইসব ব্যাপারে কমবেশ করা জায়েয নহে, একমাত্র সমান সমান ও নগদ হইলেই ইহা হালাল হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ পরিমাপ পাত্র দ্বারা মাপা হয় কিংবা ওজন করিয়া দেওয়া হয় এইরূপ খাদ্য কিংবা পানীয় দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য পাওয়া গেলে এবং (জাতের) এই পার্থক্য প্রকাশ্য হইলে, তবে নগদ বিক্রয় হইলে উহার একটির বিনিময়ে দুইটি গ্রহণ করাতে কোন দোষ নাই। আর দুই সা গমের পরিবর্তে এক সা খুর্মা এবং দুই সা’ কিশমিশের বিনিময়ে এক সা খুর্ম এবং দুই সা’ ঘি-এর বিনিময়ে এক সা’ গম লওয়াতে কোন দোষ নাই। এই সবের মধ্য হইতে পরস্পর দুই জাতের দুইটি বস্তু উভয়ে পরস্পর ভিন্ন জাতের হইলে তবে সেই জাতীয় বস্তু হইতে একের বিনিময়ে দুই কিংবা ততোধিক নগদ বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। কিন্তু ধারে হইলে ইহা বৈধ হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ গমের স্তুপের বিনিময়ে গমের স্তুপ (ক্রয় করা) হালাল হইবে না, খুর্মার স্তুপের বিনিময়ে গমের স্তুপ নগদ ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। কারণ খেজুরের বিনিময়ে গম অনুমানে ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে কোন খাদ্যদ্রব্য ও ব্যঞ্জনের জাত পরস্পর বিরোধী হইলে এবং পার্থক্য স্পষ্ট হইলে তবে (সেইরূপ দ্রব্যের) এক অংশকে আর এক অংশের বিনিময়ে আন্দাজে (কিন্তু) নগদে ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই, যদি উহাতে মেয়াদ (ধারে বিক্রয়) প্রবেশ করে তবে সেই বিক্রয়ে মঙ্গল নাই। ইহা আন্দাজে ক্রয় করা (এইরূপ) যেমন ইহার কিছু অংশকে চাঁদি বা স্বর্ণের বিনিময়ে অনুমানে বিক্রয় করা।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যশস্যের স্তুপ করিয়াছে এবং উহার পরিমাপ কার্য সম্পাদন করিয়াছে, অতঃপর উহাকে অনুমানে বিক্রয় করিয়াছে এবং ক্রেতার নিকট উহার পরিমাপ গোপন করিয়াছে। ইহা জায়েয হইবে না। তারপর ক্রেতা যদি ফেরত দিতে ইচ্ছা করে, তবে এই খাদ্যশস্য বিক্রেতাকে ফেরত দিবে, কেননা, বিক্রেতা তাহার নিকট উহার পরিমাপ গোপন করিয়াছে, (এইভাবে) সে ক্রেতাকে ধোঁকা দিয়াছে। অনুরূপ খাদ্যদ্রব্য হউক বা অন্য কিছু বিক্রেতা যে বস্তুর পরিমাপ ও সংখ্যা জানে অতঃপর উহাকে (ক্রেতার কাছে) আন্দাজে বিক্রয় করে, (অথচ) ক্রেতা উহা অবগত নহে, তবে ক্রেতা ইচ্ছা করিলে উক্ত বস্তু বিক্রেতার নিকট ফেরত দিবে। এইরূপ বিক্রয় হইতে আহলে ইলম (উলামা) সর্বদা নিষেধ করিতেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ দুই রুটির বিনিময়ে এক রুটি, ছোট রুটির বিনিময়ে বড় রুটি, যাহার একটি অপরটি হইতে বড়, গ্রহণ করা জায়েয নহে। তবে যদি উভয়ে সমান সমান হইবে বলিয়া প্রবল ধারণা হয় তবে ওজন করা না হইলেও ইহাতে কোন দোষ নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ দুই মুদ পনিরের বিনিময়ে এক মুদ পনির এবং এক মুদ দুধ গ্রহণ করা জায়েয নহে। ইহা এইরূপ যেইরূপ আমরা পূর্বে বর্ণনা করিয়াছি; খেজুরের ব্যাপারে যাহার তিন সা’ আজওয়ার বিনিময়ে বিক্রয় করা হইয়াছে দুই সা’ কাবীস আর এক সা’ রদ্দী খেজুর। যখন তাহাদের একজন অপর জনকে বলিল তিন সা’ আজওয়ার বিনিময়ে দুই সা’ কাবীস বিক্রয় করা জায়েয নহে তখন তিনি ইহা (আর এক সা’ রদ্দী খেজুর মিশাইবার কাজ) করিলেন বিক্রি শুদ্ধ করার জন্য। দুধওয়ালা পনিরের সঙ্গে দুধ মিশাইয়াছে। ইহা এই জন্য যে, তাহার সাথীর পনিরের তুলনায় তাহার পনীরের বাড়তিটুকু উশুল করিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ গমের বিনিময়ে আটা সমান সমান হইলে কোন দোষ নাই। আর যদি অর্ধ মুদ আটা এবং অর্ধ মুদ গম একত্র করিয়া উহাকে এক মুদ গমের বিনিময়ে বিক্রয় করা হয় তবে ইহা যেইরূপ আমরা পূর্বে বর্ণনা করিয়াছি সেইরূপ হইবে। ইহা জায়েয হইবে না। কারণ সে গমের সহিত আটা মিশাইয়া উৎকৃষ্ট গমের বাড়তিটুকু (শ্রেষ্ঠত্বের মূল্য) আদায় করিল। কাজেই ইহা জায়েয হইবে না।
بَاب بَيْعِ الطَّعَامِ بِالطَّعَامِ لَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ ابْنِ مُعَيْقِيبٍ الدَّوْسِيِّ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنْ لَا تُبَاعَ الْحِنْطَةُ بِالْحِنْطَةِ وَلَا التَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَلَا الْحِنْطَةُ بِالتَّمْرِ وَلَا التَّمْرُ بِالزَّبِيبِ وَلَا الْحِنْطَةُ بِالزَّبِيبِ وَلَا شَيْءٌ مِنْ الطَّعَامِ كُلِّهِ إِلَّا يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ الْأَجَلُ لَمْ يَصْلُحْ وَكَانَ حَرَامًا وَلَا شَيْءَ مِنْ الْأُدْمِ كُلِّهَا إِلَّا يَدًا بِيَدٍ قَالَ مَالِك وَلَا يُبَاعُ شَيْءٌ مِنْ الطَّعَامِ وَالْأُدْمِ إِذَا كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ فَلَا يُبَاعُ مُدُّ حِنْطَةٍ بِمُدَّيْ حِنْطَةٍ وَلَا مُدُّ تَمْرٍ بِمُدَّيْ تَمْرٍ وَلَا مُدُّ زَبِيبٍ بِمُدَّيْ زَبِيبٍ وَلَا مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْأُدْمِ كُلِّهَا إِذَا كَانَ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ وَإِنْ كَانَ يَدًا بِيَدٍ إِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الْوَرِقِ بِالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ بِالذَّهَبِ لَا يَحِلُّ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الْفَضْلُ وَلَا يَحِلُّ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ قَالَ مَالِك وَإِذَا اخْتَلَفَ مَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ مِمَّا يُؤْكَلُ أَوْ يُشْرَبُ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ مِنْهُ اثْنَانِ بِوَاحِدٍ يَدًا بِيَدٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يُؤْخَذَ صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ حِنْطَةٍ وَصَاعٌ مِنْ تَمْرٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ زَبِيبٍ وَصَاعٌ مِنْ حِنْطَةٍ بِصَاعَيْنِ مِنْ سَمْنٍ فَإِذَا كَانَ الصِّنْفَانِ مِنْ هَذَا مُخْتَلِفَيْنِ فَلَا بَأْسَ بِاثْنَيْنِ مِنْهُ بِوَاحِدٍ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَ فِي ذَلِكَ الْأَجَلُ فَلَا يَحِلُّ قَالَ مَالِك وَلَا تَحِلُّ صُبْرَةُ الْحِنْطَةِ بِصُبْرَةِ الْحِنْطَةِ وَلَا بَأْسَ بِصُبْرَةِ الْحِنْطَةِ بِصُبْرَةِ التَّمْرِ يَدًا بِيَدٍ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى الْحِنْطَةُ بِالتَّمْرِ جِزَافًا قَالَ مَالِك وَكُلُّ مَا اخْتَلَفَ مِنْ الطَّعَامِ وَالْأُدْمِ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُشْتَرَى بَعْضُهُ بِبَعْضٍ جِزَافًا يَدًا بِيَدٍ فَإِنْ دَخَلَهُ الْأَجَلُ فَلَا خَيْرَ فِيهِ وَإِنَّمَا اشْتِرَاءُ ذَلِكَ جِزَافًا كَاشْتِرَاءِ بَعْضِ ذَلِكَ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ جِزَافًا قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَنَّكَ تَشْتَرِي الْحِنْطَةَ بِالْوَرِقِ جِزَافًا وَالتَّمْرَ بِالذَّهَبِ جِزَافًا فَهَذَا حَلَالٌ لَا بَأْسَ بِهِ قَالَ مَالِك وَمَنْ صَبَّرَ صُبْرَةَ طَعَامٍ وَقَدْ عَلِمَ كَيْلَهَا ثُمَّ بَاعَهَا جِزَافًا وَكَتَمَ عَلَى الْمُشْتَرِيَ كَيْلَهَا فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ فَإِنْ أَحَبَّ الْمُشْتَرِي أَنْ يَرُدَّ ذَلِكَ الطَّعَامَ عَلَى الْبَائِعِ رَدَّهُ بِمَا كَتَمَهُ كَيْلَهُ وَغَرَّهُ وَكَذَلِكَ كُلُّ مَا عَلِمَ الْبَائِعُ كَيْلَهُ وَعَدَدَهُ مِنْ الطَّعَامِ وَغَيْرِهِ ثُمَّ بَاعَهُ جِزَافًا وَلَمْ يَعْلَمْ الْمُشْتَرِي ذَلِكَ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَرُدَّ ذَلِكَ عَلَى الْبَائِعِ رَدَّهُ وَلَمْ يَزَلْ أَهْلُ الْعِلْمِ يَنْهَوْنَ عَنْ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَلَا خَيْرَ فِي الْخُبْزِ قُرْصٍ بِقُرْصَيْنِ وَلَا عَظِيمٍ بِصَغِيرٍ إِذَا كَانَ بَعْضُ ذَلِكَ أَكْبَرَ مِنْ بَعْضٍ فَأَمَّا إِذَا كَانَ يُتَحَرَّى أَنْ يَكُونَ مِثْلًا بِمِثْلٍ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَإِنْ لَمْ يُوزَنْ قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ مُدُّ زُبْدٍ وَمُدُّ لَبَنٍ بِمُدَّيْ زُبْدٍ وَهُوَ مِثْلُ الَّذِي وَصَفْنَا مِنْ التَّمْرِ الَّذِي يُبَاعُ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ وَصَاعًا مِنْ حَشَفٍ بِثَلَاثَةِ أَصْوُعٍ مِنْ عَجْوَةٍ حِينَ قَالَ لِصَاحِبِهِ إِنَّ صَاعَيْنِ مِنْ كَبِيسٍ بِثَلَاثَةِ أَصْوُعٍ مِنْ الْعَجْوَةِ لَا يَصْلُحُ فَفَعَلَ ذَلِكَ لِيُجِيزَ بَيْعَهُ وَإِنَّمَا جَعَلَ صَاحِبُ اللَّبَنِ اللَّبَنَ مَعَ زُبْدِهِ لِيَأْخُذَ فَضْلَ زُبْدِهِ عَلَى زُبْدِ صَاحِبِهِ حِينَ أَدْخَلَ مَعَهُ اللَّبَنَ قَالَ مَالِك وَالدَّقِيقُ بِالْحِنْطَةِ مِثْلًا بِمِثْلٍ لَا بَأْسَ بِهِ وَذَلِكَ لِأَنَّهُ أَخْلَصَ الدَّقِيقَ فَبَاعَهُ بِالْحِنْطَةِ مِثْلًا بِمِثْلٍ وَلَوْ جَعَلَ نِصْفَ الْمُدِّ مِنْ دَقِيقٍ وَنِصْفَهُ مِنْ حِنْطَةٍ فَبَاعَ ذَلِكَ بِمُدٍّ مِنْ حِنْطَةٍ كَانَ ذَلِكَ مِثْلَ الَّذِي وَصَفْنَا لَا يَصْلُحُ لِأَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ فَضْلَ حِنْطَتِهِ الْجَيِّدَةِ حَتَّى جَعَلَ مَعَهَا الدَّقِيقَ فَهَذَا لَا يَصْلُحُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান