আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১২. সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৩৪
২. সালাতুল-কুসূফ-এর বিশেষ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪. আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম, তখন সূর্যগ্রহণ লাগিয়াছে এবং লোকজন দাঁড়াইয়া নামায পড়িতেছিলেন। আয়েশা (রাযিঃ)-ও তখন নামাযে দাঁড়াইয়াছিলেন। তখন আমি প্রশ্ন করিলামঃ লোকের কি হইল? (উত্তরে) তিনি আসমানের দিকে ইশারা করিলেন এবং সুবহানাল্লাহ বললেন। আমি বললামঃ ইহা কি একটি নিদর্শন। তিনি শির দ্বারা ইঙ্গিতে বলিলেন, ‘হ্যাঁ’ আসমা বলেনঃ অতঃপর আমি দাঁড়াইলাম এমন অবস্থায় যে, সংজ্ঞাহীনতা আমাকে আবৃত করিয়া ফেলিয়াছে এবং আমি মাথায় পানি ঢালিতে আরম্ভ করিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর সানা ও হামৃদ আদায় করিলেন। তারপর বলিলেনঃ এমন কোন বস্তু নাই যাহা আমি এই মুহুর্তে এই স্থানে দেখি নাই। এমন কি জান্নাত ও দোযখও এখন দেখিয়াছি। ওহী মারফত আমাকে জানানো হইয়াছে- তোমরা কবরে পরীক্ষার সম্মুখীন হইবে দাজ্জালের ফেতনার সদৃশ কিংবা উহার ফেতনার কাছাকাছি। (রাবীর এই বিষয়ে সন্দেহ হইয়াছে) আসমা বলেনঃ তিনি কোনটি বলিয়াছেন তাহা আমার স্মরণ নাই। তোমাদের একজনের নিকট ফিরিশতা আসিবেন এবং তাহাকে বলা হইবে- এই ব্যক্তি অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ব্যাপারে তোমার কি জানা আছে? অতঃপর মু’মিন অথবা মুকিন (ইয়াকীনওয়ালা) [আসমা (রাযিঃ) বলেন] কোনটি বলিয়াছেন- সদৃশ বলিয়াছেন, না কাছাকাছি বলিয়াছেন তাহা আমার স্মরণ নাই- (ফিরিশতার প্রশ্নের উত্তরে) বলিবেনঃ ইনি মুহাম্মাদ (ﷺ)। তিনি আমাদের কাছে হিদায়েত ও নিদর্শনসমূহ লইয়া আগমন করিয়াছেন, তখন আমরা তাহার হিদায়েত ও নিদর্শনসমূহকে মানিয়া নিয়াছি এবং তাহার প্রতি ঈমান আনিয়াছি এবং তাহার অনুসরণ করিয়াছি। তখন তাহাকে বলা হইবেঃ তুমি সংলোক, তুমি ভালরূপে ঘুমাও। আমাদের জানা ছিল যে, তুমি ঈমানদার। আর মুনাফিক অথবা মুরতাব (সন্দেহ পোষণকারী) ব্যক্তি আসমা (রাযিঃ) বলেনঃ কোনটি বলিয়াছেন তাহা আমার স্মরণ নাই, সে বলিবেঃ আমি কিছু জানি না, লোকজনকে যাহা বলিতে শুনিয়াছি তাহাই বলিয়াছি।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَنَّهَا قَالَتْ أَتَيْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ يُصَلُّونَ وَإِذَا هِيَ قَائِمَةٌ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا لِلنَّاسِ فَأَشَارَتْ بِيَدِهَا نَحْوَ السَّمَاءِ وَقَالَتْ سُبْحَانَ اللَّهِ فَقُلْتُ آيَةٌ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ نَعَمْ قَالَتْ فَقُمْتُ حَتَّى تَجَلَّانِي الْغَشْيُ وَجَعَلْتُ أَصُبُّ فَوْقَ رَأْسِي الْمَاءَ فَحَمِدَ اللَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ مَا مِنْ شَيْءٍ كُنْتُ لَمْ أَرَهُ إِلَّا قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا حَتَّى الْجَنَّةُ وَالنَّارُ وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ مِثْلَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ لَا أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ يُؤْتَى أَحَدُكُمْ فَيُقَالُ لَهُ مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ أَوْ الْمُوقِنُ لَا أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ فَيَقُولُ هُوَ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى فَأَجَبْنَا وَآمَنَّا وَاتَّبَعْنَا فَيُقَالُ لَهُ نَمْ صَالِحًا قَدْ عَلِمْنَا إِنْ كُنْتَ لَمُؤْمِنًا وَأَمَّا الْمُنَافِقُ أَوْ الْمُرْتَابُ لَا أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ فَيَقُولُ لَا أَدْرِي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান