কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৩. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৪৪১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭৬
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
৩৪. মদপানের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪১৭. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) মদের ব্যাপারে কোন শাস্তি নির্ধারণ করেননি। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে টলমল পদে চলতে শুরু করলে, লোকেরা তাকে ধরে নবী (ﷺ)-এর কাছে নিয়ে যেতে চাইলে; সে যখন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বাড়ীর কাছে পৌছে, তখন হঠাৎ পালিয়ে আব্বাস (রাযিঃ)-এর ঘরে প্রবেশ করে এবং আত্মগোপন করার জন্য দেওয়ালের সাথে মিশে যায়। ব্যাপারটি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করা হলে, তিনি হাসেন এবং বলেনঃ সে কি এরূপ করেছে? এরপর তিনি তার সম্পর্কে কিছুই বলেননি।
كتاب الحدود
باب الْحَدِّ فِي الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقِتْ فِي الْخَمْرِ حَدًّا . وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ شَرِبَ رَجُلٌ فَسَكِرَ فَلُقِيَ يَمِيلُ فِي الْفَجِّ فَانْطُلِقَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا حَاذَى بِدَارِ الْعَبَّاسِ انْفَلَتَ فَدَخَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ فَالْتَزَمَهُ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَضَحِكَ وَقَالَ " أَفَعَلَهَا " . وَلَمْ يَأْمُرْ فِيهِ بِشَىْءٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ حَدِيثُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ هَذَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭৭
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
৩৪. মদপানের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪১৮. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে একজন মদ পানকারী ব্যক্তিকে উপস্থিত করা হয়। তিনি বলেনঃ তোমরা তাকে প্রহার কর।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ তখন আমাদের থেকে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে, কেউ কাপড় দিয়ে তাকে মারতে থাকে। মারার পর কেউ বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে অসম্মানিত করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা এরূপ বলো না। তার উপর প্রাধান্য বিস্তারে শয়তানের সাহায্য করো না।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেনঃ তখন আমাদের থেকে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে, কেউ কাপড় দিয়ে তাকে মারতে থাকে। মারার পর কেউ বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে অসম্মানিত করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা এরূপ বলো না। তার উপর প্রাধান্য বিস্তারে শয়তানের সাহায্য করো না।
كتاب الحدود
باب الْحَدِّ فِي الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ فَقَالَ " اضْرِبُوهُ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمِنَّا الضَّارِبُ بِيَدِهِ وَالضَّارِبُ بِنَعْلِهِ وَالضَّارِبُ بِثَوْبِهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ أَخْزَاكَ اللَّهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَقُولُوا هَكَذَا لاَ تُعِينُوا عَلَيْهِ الشَّيْطَانَ " .
হাদীস নং: ৪৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭৮
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
৩৪. মদপানের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪১৯. মুহাম্মাদ ইবনে দাউদ (রাহঃ) ..... ইবনে হাদ উপরোক্ত হাদীসের সনদ ও অর্থে হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ সে ব্যক্তিকে মারধর করার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের বলেন যে, তোমরা তাকে ধমক দিয়ে ছেড়ে দাও। তখন তাঁরা এরূপ বলতে থাকে যে, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্যও লজ্জিত হওনি! এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি এ হাদীসের শেষে বলেনঃ তোমরা বরং বল যে, আপনি তাকে মাফ করে দেন; ইয়া আল্লাহ! আপনি তার উপর রহম করুন। অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ এ ধরনের আরো কিছু কথার উল্লেখ করেছেন।
كتاب الحدود
باب الْحَدِّ فِي الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ أَبِي نَاجِيَةَ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، وَابْنُ، لَهِيعَةَ عَنِ ابْنِ الْهَادِ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ فِيهِ بَعْدَ الضَّرْبِ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ " بَكِّتُوهُ " . فَأَقْبَلُوا عَلَيْهِ يَقُولُونَ مَا اتَّقَيْتَ اللَّهَ مَا خَشِيتَ اللَّهَ وَمَا اسْتَحَيْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَرْسَلُوهُ وَقَالَ فِي آخِرِهِ " وَلَكِنْ قُولُوا اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ " . وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ الْكَلِمَةَ وَنَحْوَهَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪২০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭৯
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
৩৪. মদপানের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪২০. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ...... আনাস ইবনে মালিক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) মদ পানকারীদের খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে শাস্তি দিতেন। আবু বকর (রাযিঃ) মদ পানকারীদের চল্লিশ কোড়া (চাবুক) মারতেন। এরপর উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে তিনি লোকদের ডেকে বলেনঃ বর্তমানে লোকেরা খেজুর বাগানের নিকটবর্তী যমীনে বসবাস করে, (অর্থাৎ তারা অধিকহারে মদপান করছে), তাই তাদের ব্যাপারে আপনাদের অভিমত কি? তখন আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) তাঁকে বলেনঃ তাদের ব্যাপারে আপনি হালকা ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। তখন আশিটি কোড়া মারার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আবু আরূবা (রাহঃ) কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) মদ পানকারীদের খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে চল্লিশবার মারতেন। রাবী শু’বা (রাহঃ) কাতাদা (রাযিঃ) থেকে, তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, মদ পানকারীদের দু’টি খেজুরের ডাল দিয়ে চল্লিশ বার মারতে হবে। (এতে ৮০টি বেত্রাঘাত হবে)।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে আবু আরূবা (রাহঃ) কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) মদ পানকারীদের খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে চল্লিশবার মারতেন। রাবী শু’বা (রাহঃ) কাতাদা (রাযিঃ) থেকে, তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, মদ পানকারীদের দু’টি খেজুরের ডাল দিয়ে চল্লিশ বার মারতে হবে। (এতে ৮০টি বেত্রাঘাত হবে)।
كتاب الحدود
باب الْحَدِّ فِي الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، - الْمَعْنَى - عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَلَدَ فِي الْخَمْرِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه أَرْبَعِينَ فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ دَعَا النَّاسَ فَقَالَ لَهُمْ إِنَّ النَّاسَ قَدْ دَنَوْا مِنَ الرِّيفِ - وَقَالَ مُسَدَّدٌ مِنَ الْقُرَى وَالرِّيفِ - فَمَا تَرَوْنَ فِي حَدِّ الْخَمْرِ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ نَرَى أَنْ تَجْعَلَهُ كَأَخَفِّ الْحُدُودِ . فَجَلَدَ فِيهِ ثَمَانِينَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ جَلَدَ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ أَرْبَعِينَ . وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ضَرَبَ بِجَرِيدَتَيْنِ نَحْوَ الأَرْبَعِينَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮০
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
৩৪. মদপানের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪২১. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... হুসাইন ইবনে মুনযির রুকাশী (রাহঃ), যিনি আবু সাসান নামে পরিচিত- থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সেখানে ওয়ালীদ ইবনে উকাবা (রাযিঃ)-কে উপস্থিত করা হয়। এ সময় তাঁর বিরুদ্ধে হুমরান (রাযিঃ) ও অপর এক ব্যক্তি এরূপ সাক্ষ্য দেয় যে, সে তাকে মদ পান করতে দেখেছে। অপর ব্যক্তি বলেঃ সে তাকে মদ বমি করতে দেখেছে। তখন উছমান (রাযিঃ) বলেনঃ সে মদ না পান করলে, কিভাবে মদ বমি করবে? এরপর তিনি আলী (রাযিঃ)-কে তার উপর হদ কায়েম করার নির্দেশ দেন।
তখন আলী (রাযিঃ) হাসান (রাযিঃ)-কে বলেনঃ যারা শাসন কাজের দায়িত্বে নিযুক্ত, তাদের উচিত এ দায়িত্ব পালন করা। তখন আলী (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দেন, তার উপর হদ কায়েম করার জন্য। তখন তিনি কোড়া নিয়ে তাকে মারা শুরু করেন এবং আলী (রাযিঃ) তা শুনতে থাকেন। চল্লিশ কোড়া মারা শেষ হলে, আলী (রাযিঃ) বলেনঃ থাম, নবী করীম (ﷺ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কাজেই, তার জন্য ইহাই যথেষ্ট। তিনি আরো বলেনঃ আবু বকর (রাযিঃ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কিন্তু উমর (রাযিঃ) আশিটি কোড়া মারার প্রচলন করেন। আর এ সবই সুন্নত তরীকা। তবে আমার কাছে এটিই অধিক প্রিয়।
তখন আলী (রাযিঃ) হাসান (রাযিঃ)-কে বলেনঃ যারা শাসন কাজের দায়িত্বে নিযুক্ত, তাদের উচিত এ দায়িত্ব পালন করা। তখন আলী (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দেন, তার উপর হদ কায়েম করার জন্য। তখন তিনি কোড়া নিয়ে তাকে মারা শুরু করেন এবং আলী (রাযিঃ) তা শুনতে থাকেন। চল্লিশ কোড়া মারা শেষ হলে, আলী (রাযিঃ) বলেনঃ থাম, নবী করীম (ﷺ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কাজেই, তার জন্য ইহাই যথেষ্ট। তিনি আরো বলেনঃ আবু বকর (রাযিঃ) মদ পানকারীকে চল্লিশ কোড়া মারতেন। কিন্তু উমর (রাযিঃ) আশিটি কোড়া মারার প্রচলন করেন। আর এ সবই সুন্নত তরীকা। তবে আমার কাছে এটিই অধিক প্রিয়।
كتاب الحدود
باب الْحَدِّ فِي الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الدَّانَاجُ، حَدَّثَنِي حُضَيْنُ بْنُ الْمُنْذِرِ الرَّقَاشِيُّ، - هُوَ أَبُو سَاسَانَ - قَالَ شَهِدْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَأُتِيَ بِالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ فَشَهِدَ عَلَيْهِ حُمْرَانُ وَرَجُلٌ آخَرُ فَشَهِدَ أَحَدُهُمَا أَنَّهُ رَآهُ شَرِبَهَا - يَعْنِي الْخَمْرَ - وَشَهِدَ الآخَرُ أَنَّهُ رَآهُ يَتَقَيَّأُهَا فَقَالَ عُثْمَانُ إِنَّهُ لَمْ يَتَقَيَّأْهَا حَتَّى شَرِبَهَا . فَقَالَ لِعَلِيٍّ رضى الله عنه أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ . فَقَالَ عَلِيٌّ لِلْحَسَنِ أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ . فَقَالَ الْحَسَنُ وَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا . فَقَالَ عَلِيٌّ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ أَقِمْ عَلَيْهِ الْحَدَّ . قَالَ فَأَخَذَ السَّوْطَ فَجَلَدَهُ وَعَلِيٌّ يَعُدُّ فَلَمَّا بَلَغَ أَرْبَعِينَ قَالَ حَسْبُكَ جَلَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ - أَحْسِبُهُ قَالَ - وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَعُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ وَهَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪২২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮১
শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়
৩৪. মদপানের শাস্তি সম্পর্কে।
৪৪২২. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) মদ পানকারীকে চল্লিশ বার কোড়া মারার শাস্তি দিতেন। আর উমর (রাযিঃ) তা আশিতে পূর্ণ করেন। এ সবই সুন্নত।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃوَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا এ বাক্যের অর্থ হলোঃ যে ব্যক্তি খিলাফতের সুখ-শান্তি ভোগ করবে, সে-ই এর কঠিন দায়িত্ব পালন করবে।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃوَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا এ বাক্যের অর্থ হলোঃ যে ব্যক্তি খিলাফতের সুখ-শান্তি ভোগ করবে, সে-ই এর কঠিন দায়িত্ব পালন করবে।
كتاب الحدود
باب الْحَدِّ فِي الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنِ الدَّانَاجِ، عَنْ حُضَيْنِ بْنِ الْمُنْذِرِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ جَلَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَمْرِ وَأَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَكَمَّلَهَا عُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ الأَصْمَعِيُّ وَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا وَلِّ شَدِيدَهَا مَنْ تَوَلَّى هَيِّنَهَا .
তাহকীক: