কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩৩. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৩০০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫১
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০০. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... ইকরিমা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী (রাযিঃ) ঐ সব লোকদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন, যারা মুরতাদ হয়েছিল। এ সংবাদ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট পৌছলে, তিনি বলেনঃ যদি আমি তখন সেখানে উপস্থিত থাকতাম, তবে আমি তাদের আগুনে জ্বালাতে দিতাম না। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোময়া আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তির (বস্তু) দ্বারা কাউকে শাস্তি দেবে না।

অবশ্য আমি তাদেরকে আল্লাহর রাসূলের নির্দেশ মত হত্যা করতাম। কেননা, তিনি বলেছেনঃ যদি কেউ দ্বীন পরিত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়, তবে তোমরা তাকে হত্যা করবে। আলী (রাযিঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর এ নির্দেশ শুনে বলেনঃ ওয়াহ! ওয়াহ! ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সত্য বলেহছেন। আর ইহাই নবী (ﷺ)-এর নির্দেশ।*

* আলী (রাযিঃ) সম্ভবতঃ বিশেষ কোন কারণে মুরতাদদের জ্বালিয়ে দেন। আর এও হতে পারে যে, এ সময় পর্যন্ত তিনি নবী (ﷺ)-এর এই হাদীসের খবর জানতে পারেননি। - অনুবাদক
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ عَلِيًّا، عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَحْرَقَ نَاسًا ارْتَدُّوا عَنِ الإِسْلاَمِ فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ لَمْ أَكُنْ لأَحْرِقَهُمْ بِالنَّارِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ " . وَكُنْتُ قَاتِلَهُمْ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ " . فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ وَيْحَ ابْنَ عَبَّاسٍ .
হাদীস নং:৪৩০১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫২
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০১. আমর ইবনে আওন (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঐ মুসলমানের রক্ত হালাল নয়, যে এরূপ সাক্ষ্য দেয় যে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল”। তবে তিনটি কারণে কোন মুসলমানের রক্ত প্রবাহিত করা হালালঃ

(১) যদি কোন বিবাহিত ব্যক্তি যিনা করে;
(২) যদি কেউ কাউকে হত্যা করে, তবে এর বিনিময়ে হত্যা এবং
(৩) যে ব্যক্তি দীন ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে মুসলমানের জামাআত থেকে বেরিয়ে যায়।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ دَمُ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلاَّ بِإِحْدَى ثَلاَثٍ الثَّيِّبُ الزَّانِي وَالنَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالتَّارِكُ لِدِينِهِ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ " .
হাদীস নং:৪৩০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৩
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০২. মুহাম্মাদ ইবনে সিনান (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন মুসলমানের রক্ত হালাল নয়, যে এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল, তবে তিনটি মধ্যে যে কোন একটি কারণে তার রক্ত প্রবাহিত করা হালালঃ

(১) যদি কেউ বিবাহ করার পর যিনা করে, তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হবে;

(২) যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বের হবে, তাকে হত্যা করা হবে, অথবা শুলী দণ্ড দেওয়া হবে, অথবা দেশ থেকে বের করা হবে এবং

(৩) যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করবে, তার জীবনের বিনিময়ে তাকে হত্যা করা হবে।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ إِلاَّ بِإِحْدَى ثَلاَثٍ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانٍ فَإِنَّهُ يُرْجَمُ وَرَجُلٌ خَرَجَ مُحَارِبًا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ فَإِنَّهُ يُقْتَلُ أَوْ يُصْلَبُ أَوْ يُنْفَى مِنَ الأَرْضِ أَوْ يَقْتُلُ نَفْسًا فَيُقْتَلُ بِهَا " .
হাদীস নং:৪৩০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৪
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০৩. আহমদ ইবনে হাম্বাল (রাহঃ) .... আবু বুরদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) বলেনঃ একদা আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট আগমন করি, যখন আমার সাথে আশআর গোত্রের দুই ব্যক্তি ছিল। তাদের একজন আমার ডানদিকে এবং অপরজন বামদিকে ছিল। তারা উভয়ই কর্মচারী নিযুক্ত হতে চাইলে নবী (ﷺ) চুপ করে থাকেন। এরপর তিনি বলেনঃ হে আবু মুসা, অথবা হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! তুমি কি বল? তখন আমি বলিঃ ঐ জাত-পাকের কসম! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন। এই দুই ব্যক্তি তাদের মনের গোপন ইচ্ছা আমাকে অবহিত করে নি এবং আমি জানতাম না যে, তারা চাকরীর জন্য দরখাস্ত করবে।

আবু মুসা (রাযিঃ) বলেনঃ সে সময় আমি নবী (ﷺ)-এর মিসওয়াকের দিকে তাকাচ্ছিলাম, যা তাঁর ঠোঁটের নীচে ছিল এবং এ কারণে তাঁর ঠোঁটের উপরের দিকে উঠানো ছিল। এরপর তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি নিজ শাসনভার পেতে চায়, আমি তাকে শাসক হিসাবে নিয়োগ করি না। কাজেই হে আবু মুসা, অথবা হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! তুমিই শাসনভার গ্রহণ কর। এরপর তিনি আমাকে ইয়ামানের গভর্নর নিয়োগ করে প্রেরণ করেন। পরে তিনি মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ)-কে ইয়ামানের শাসনকর্তা হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত করেন।

আবু মুসা (রাযিঃ) বলেনঃ যখন মু’আয (রাযিঃ) তার কাছে উপস্থিত হন, তখন তিনি তাকে বসার জন্য অনুরোধ করেন এবং তার জন্য একটি বালিশ রেখে দেন। এ সময় মা’আয (রাযিঃ) তার নিকট বন্ধনযুক্ত অবস্থায় এক-ব্যক্তিকে দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞাসা করেন এ ব্যক্তি কে? তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বলেনঃ এই ব্যক্তি আগে ইয়াহুদী ছিল, পরে সে ইসলাম কবুল করে, এরপর সে ঐ খারাপ ধর্মে প্রত্যাবর্তন করেছে। তখন মু’আয (রাযিঃ) বলেনঃ আমি ততক্ষণ বসবো না, যতক্ষণ না এই ব্যক্তিকে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ মত হত্যা করা হয়। তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বলেনঃ হ্যাঁ, এরূপই হবে। আপনি বসুন।

তখন মু’আয (রাযিঃ) তিন বার এরূপ বলেনঃ আমি ততক্ষণ বসবো না, যতক্ষণ না এই ব্যক্তিকে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ মত হত্যা করা হয়। এরপর আবু মুসা (রাযিঃ) তাকে হত্যার নির্দেশ দেন এবং তা কার্যকর হয়। পরে তাঁরা রাত্রি জাগরণ সম্পর্কে আলোচনা শুরু করেন। তখন তাঁদের একজন, সম্ভবতঃ মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাতে ঘুমাই এবং উঠে নামায ও আদায় করি; অথবা আমি রাতে উঠে নামাযও আদায় করি এবং ঘুমাইও। আর আমি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করার জন্য যেরূপ সাওয়াবের আশা করি, ঐরূপ সাওয়াব আমি ঘুমিয়ে থাকাবস্থায়ও আশা করি।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - قَالَ مُسَدَّدٌ - حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى أَقْبَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعِي رَجُلاَنِ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِي وَالآخَرُ عَنْ يَسَارِي فَكِلاَهُمَا سَأَلَ الْعَمَلَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاكِتٌ فَقَالَ " مَا تَقُولُ يَا أَبَا مُوسَى " . أَوْ " يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ " . قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَطْلَعَانِي عَلَى مَا فِي أَنْفُسِهِمَا وَمَا شَعَرْتُ أَنَّهُمَا يَطْلُبَانِ الْعَمَلَ . قَالَ وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى سِوَاكِهِ تَحْتَ شَفَتِهِ قَلَصَتْ قَالَ " لَنْ نَسْتَعْمِلَ - أَوْ لاَ نَسْتَعْمِلُ - عَلَى عَمَلِنَا مَنْ أَرَادَهُ وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ يَا أَبَا مُوسَى أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ " . فَبَعَثَهُ عَلَى الْيَمَنِ ثُمَّ أَتْبَعَهُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَالَ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ مُعَاذٌ قَالَ انْزِلْ . وَأَلْقَى لَهُ وِسَادَةً فَإِذَا رَجُلٌ عِنْدَهُ مُوثَقٌ قَالَ مَا هَذَا قَالَ هَذَا كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ ثُمَّ رَاجَعَ دِينَهُ دِينَ السُّوءِ . قَالَ لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ . قَالَ اجْلِسْ نَعَمْ . قَالَ لاَ أَجْلِسُ حَتَّى يُقْتَلَ قَضَاءُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ ثُمَّ تَذَاكَرَا قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ أَمَّا أَنَا فَأَنَامُ وَأَقُومُ - أَوْ أَقُومُ وَأَنَامُ - وَأَرْجُو فِي نَوْمَتِي مَا أَرْجُو فِي قَوْمَتِي .
হাদীস নং:৪৩০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৫
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০৪. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যখন ইয়ামানের শাসনকর্তা, তখন মু’আয (রাযিঃ) আমার নিকট আসেন। এ সময় একজন ইয়াহুদী মুসলমান হয়ে, পরে ইসলাম পরিত্যাগ করে। সে সময় মু’আয (রাযিঃ) সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ যতক্ষণ না এ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়, ততক্ষণ আমি আমার বাহন থেকে অবতরণ করবো না। পরে তাকে হত্যা করা হয়। এই দুই জনের একজন বলেনঃ হত্যার পূর্বে তাকে তাওবা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا الْحِمَّانِيُّ، - يَعْنِي عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، وَبُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَدِمَ عَلَىَّ مُعَاذٌ وَأَنَا بِالْيَمَنِ، وَرَجُلٌ، كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ فَارْتَدَّ عَنِ الإِسْلاَمِ، فَلَمَّا قَدِمَ مُعَاذٌ قَالَ لاَ أَنْزِلُ عَنْ دَابَّتِي حَتَّى يُقْتَلَ . فَقُتِلَ . قَالَ أَحَدُهُمَا وَكَانَ قَدِ اسْتُتِيبَ قَبْلَ ذَلِكَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৬
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০৫. মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) .... আবু বুরদা (রাহঃ) এ ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ একদা আবু মুসা (রাযিঃ)-এর নিকট জনৈক মুরতাদ ব্যক্তিকে হাযির করা হয়। তিনি তাকে প্রায় বিশদিন যাবৎ পুনরায় মুসলমান হওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন। পরে মু’আয (রাযিঃ)ও সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে দ্বীনের দাওয়াত দেন। কিন্তু সে তা অস্বীকার করলে তাকে হত্যা করা হয়।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَأُتِيَ أَبُو مُوسَى بِرَجُلٍ قَدِ ارْتَدَّ عَنِ الإِسْلاَمِ، فَدَعَاهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ قَرِيبًا مِنْهَا فَجَاءَ مُعَاذٌ فَدَعَاهُ فَأَبَى فَضُرِبَ عُنُقُهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ لَمْ يَذْكُرْ الاِسْتِتَابَةَ وَرَوَاهُ ابْنُ فُضَيْلٍ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الاِسْتِتَابَةَ .
হাদীস নং:৪৩০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৭
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০৬. ইবনে মা’আয (রাহঃ) .... কাসিম (রাহঃ) হতে উপরোক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে যে, মু’আয (রাযিঃ) ততক্ষণ তার বাহন হতে অবতরণ করেন নি, যতক্ষণ না সে ব্যক্তির মস্তক দ্বি-খণ্ডিত করা হয়। আর তাকে তাওবা করতে বলা হয়নি।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَلَمْ يَنْزِلْ حَتَّى ضُرِبَ عُنُقُهُ وَمَا اسْتَتَابَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৮
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০৭. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ ইবনে আবু সারাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর লেখক ছিলেন। তিনি শয়তানের প্ররোচনায় গুমরাহ হয়ে পুনরায় কাফিরদের সাথে মিলিত হন। পরে মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। এ সময় উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) তার নিরাপত্তার জন্য আবেদন পেশ করলে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে নিরাপত্তা প্রদান করেন।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ يَكْتُبُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَزَلَّهُ الشَّيْطَانُ فَلَحِقَ بِالْكُفَّارِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْتَلَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَاسْتَجَارَ لَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَأَجَارَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং:৪৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৯
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০৮. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মক্কা বিজয়ের দিন আব্দুল্লাহ ইবনে আবু সারহ উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-এর নিকট আত্মগোপন করেছিল। তিনি তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির করে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আব্দুল্লাহকে বায়’আত করান। তখন তিনি তার দিকে তিনবার তাকান এবং তাকে বায়’আত করতে অস্বীকার করেন। পরে তিনি তাকে বায়’আত করাবার পর বলেনঃ তোমাদের মাঝে এমন কোন বুদ্ধিমান লোক কি ছিল না, যে আমাকে তার নিকট হতে বায়’আত গ্রহণের হাত সরিয়ে নিতে দেখে, দাঁড়িয়ে তাকে হত্যা করে ফেলতো? তখন সাহাবীগণ বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনার মনের উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনি। যদি আপনি চোখের ইশারায় এরূপ ইঙ্গিত করতেন, তবে ভাল হতো। তখন তিনি বলেনঃ কোন নবীর পক্ষে চোখ দিয়ে এ ধরণের ইঙ্গিত করা উচিত নয়।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ زَعَمَ السُّدِّيُّ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ اخْتَبَأَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ عِنْدَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَجَاءَ بِهِ حَتَّى أَوْقَفَهُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَايِعْ عَبْدَ اللَّهِ . فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثَلاَثًا كُلُّ ذَلِكَ يَأْبَى فَبَايَعَهُ بَعْدَ ثَلاَثٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ " أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ يَقُومُ إِلَى هَذَا حَيْثُ رَآنِي كَفَفْتُ يَدِي عَنْ بَيْعَتِهِ فَيَقْتُلَهُ " . فَقَالُوا مَا نَدْرِي يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا فِي نَفْسِكَ أَلاَّ أَوْمَأْتَ إِلَيْنَا بِعَيْنِكَ قَالَ " إِنَّهُ لاَ يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ خَائِنَةُ الأَعْيُنِ " .
হাদীস নং:৪৩০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৬০
১. মুরতাদের শাস্তির বিধান।
৪৩০৯. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... জাবীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম (ﷺ)-কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, যখন কোন গোলাম শিরকের প্রতি চলে যায়, (অর্থাৎ আল্লাহকে পরিত্যাগ করে মুরতাদ হয়); তখন তার রক্ত হালাল হয়ে যায়।
باب الْحُكْمِ فِيمَنِ ارْتَدَّ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَرِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا أَبَقَ الْعَبْدُ إِلَى الشِّرْكِ فَقَدْ حَلَّ دَمُهُ " .