কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২০. ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৬০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৬
৪১৭. ইলম লিপিবদ্ধ করা সম্পর্কে।
৩৬০৭. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যা কিছু রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হতে শ্রবণ করতাম, তা লিখে রাখতাম। আমি ইচ্ছা করতাম যে, আমি এর সবই সংরক্ষণ করি। কিন্তু কুরাইশরা আমাকে এরূপ করতে নিষেধ করে এবং বলেঃ তুমি যা কিছু শোন তার সবই লিখে রাখ, অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একজন মানুষ, তিনি তো কোন সময় রাগান্বিত অবস্থায় কথাবার্তা বলেন এবং খুশীর অবস্থায়ও বলেন। একথা শুনে আমি লেখা বন্ধ করি এবং বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অবহিত করি। তখন তিনি তার আঙ্গুল দিয়ে নিজের মুখের প্রতি ইাশারা করে বলেনঃ তুমি লিখতে থাক, ঐ যাতের কসম, যাঁর হাতে আমার জীবন, যা কিছু এ মুখ হতে বের হয়, তা সবই সত্য।
باب فِي كِتَابَةِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُغِيثٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ كُنْتُ أَكْتُبُ كُلَّ شَىْءٍ أَسْمَعُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُرِيدُ حِفْظَهُ فَنَهَتْنِي قُرَيْشٌ وَقَالُوا أَتَكْتُبُ كُلَّ شَىْءٍ تَسْمَعُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَشَرٌ يَتَكَلَّمُ فِي الْغَضَبِ وَالرِّضَا فَأَمْسَكْتُ عَنِ الْكِتَابِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَوْمَأَ بِأُصْبُعِهِ إِلَى فِيهِ فَقَالَ " اكْتُبْ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا يَخْرُجُ مِنْهُ إِلاَّ حَقٌّ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৭ - ৩৬৫০
৪১৭. ইলম লিপিবদ্ধ করা সম্পর্কে।
৩৬০৮. নসর ইবনে আলী (রাহঃ) .... মুত্তালিব ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে হানতাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে একটি হাদীস সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন। তখন মুআবিয়া (রাযিঃ) জনৈক ব্যক্তিকে সে হাদীসটি লিখে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এ দেখে যায়দ (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের এরূপ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন তার কোন হাদীস লিপিবদ্ধ না করি। আর যা কিছু লেখা হয়েছিল, তিনি তার সবই মুছে দেন।[১]
আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) বলেনঃ আমরা তাশাহুদ ও আল-কুরআন ছাড়া আর কিছু লিখতাম না।
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয় হলে নবী (ﷺ) দাঁড়ালেন। অতঃপর আবু হুরাইরাহ (রাঃ) নবী (ﷺ)-এর ভাষণ উল্লেখ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবু শাহ নামক ইয়ামেনের এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনারা আমাকে লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বললেনঃ তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও।
আল-ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমি আবু আমর (রহঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, তারা কি লিখেছেন? তিনি বললেন, সে সময় তিনি তাঁর যে ভাষণ শুনেছিলেন তা
[১] সম্ভবতঃ এটি ইসলামের প্রথম যুগের ঘটনা, যখন লেখার চাইতে মুখস্থ করার প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হতো। এছাড়া তখন কুরআন নাযিল হতে থাকার কারণে, যাতে কুরআনের সংগে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের কেন অংশ মিশ্রিত না হয়ে যায়, সে জন্য সাবধানতা অবলম্বন হেতু রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এরূপ নির্দেশ প্রদান করেন। পরে এ নির্দেশ জারী ছিল না (অনুবাদক)।
আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) বলেনঃ আমরা তাশাহুদ ও আল-কুরআন ছাড়া আর কিছু লিখতাম না।
আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয় হলে নবী (ﷺ) দাঁড়ালেন। অতঃপর আবু হুরাইরাহ (রাঃ) নবী (ﷺ)-এর ভাষণ উল্লেখ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবু শাহ নামক ইয়ামেনের এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনারা আমাকে লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বললেনঃ তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও।
আল-ওয়ালীদ (রহঃ) বলেন, আমি আবু আমর (রহঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, তারা কি লিখেছেন? তিনি বললেন, সে সময় তিনি তাঁর যে ভাষণ শুনেছিলেন তা
[১] সম্ভবতঃ এটি ইসলামের প্রথম যুগের ঘটনা, যখন লেখার চাইতে মুখস্থ করার প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হতো। এছাড়া তখন কুরআন নাযিল হতে থাকার কারণে, যাতে কুরআনের সংগে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের কেন অংশ মিশ্রিত না হয়ে যায়, সে জন্য সাবধানতা অবলম্বন হেতু রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এরূপ নির্দেশ প্রদান করেন। পরে এ নির্দেশ জারী ছিল না (অনুবাদক)।
باب فِي كِتَابَةِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، قَالَ دَخَلَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَسَأَلَهُ عَنْ حَدِيثٍ، فَأَمَرَ إِنْسَانًا يَكْتُبُهُ فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَنَا أَنْ لاَ نَكْتُبَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِهِ فَمَحَاهُ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: مَا كُنَّا نَكْتُبُ غَيْرَ التَّشَهُّدِ، وَالْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، ح وحَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ: لَمَّا فُتِحَتْ مَكَّةُ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ الْخُطْبَةَ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ: أَبُو شَاهَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اكْتُبُوا لِي، فَقَالَ: اكْتُبُوا لِأَبِي شَاهَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي عَمْرٍو مَا يَكْتُبُوهُ، قَالَ: الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا يَوْمَئِذٍ مِنْهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: مَا كُنَّا نَكْتُبُ غَيْرَ التَّشَهُّدِ، وَالْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، ح وحَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ: لَمَّا فُتِحَتْ مَكَّةُ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ الْخُطْبَةَ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ: أَبُو شَاهَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اكْتُبُوا لِي، فَقَالَ: اكْتُبُوا لِأَبِي شَاهَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي عَمْرٍو مَا يَكْتُبُوهُ، قَالَ: الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا يَوْمَئِذٍ مِنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: