মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২১- শিকার ও জবাইয়ের পশুর বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৪০৭২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭২। হযরত কা'ব ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, তাঁহার এক পাল বকরী ছিল, যাহা সালা' পাহাড়ীতে চরিত। এক সময় আমাদের এক দাসী দেখিতে পাইল যে, আমাদের পালের একটি বকরী মরণাপন্ন হইয়া পড়িয়াছে। তখন সে একখণ্ড পাথর ভাঙ্গিয়া লইল এবং উহার দ্বারা বকরীটিকে যবাহ্ করিয়া দিল। অতঃপর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি তাহাকে উহা খাইবার অনুমতি দিলেন। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৭৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭৩। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা প্রত্যেক জিনিসের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়াছেন। সুতরাং যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে (কেসাস ইত্যাদিতে) হত্যা করিবে, তখন তাহাকে উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করিবে। আর যখন কোন প্রাণীকে যবাহ করিবে, তখন উহাকে উত্তমরূপেই যবাহ করিবে। তোমরা অবশ্যই ছুরি ধার দিয়া লইবে এবং যবাহকৃত পশুকে শান্তি দিবে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৭৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন জানোয়ার বা অন্য কোন প্রাণীকে হত্যা করার জন্য আব্দ্ধ করিয়া রাখিতে নিষেধ করিতেন। —মোতাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৭৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন ব্যক্তির উপর লা'নত করিয়াছেন, যে কোন জানদার প্রাণীকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৭৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে জিনিসের মধ্যে প্রাণ আছে, তোমরা উহাকে লক্ষ্যবস্তু বানাইও না। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৭৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭৭। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্, ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ( কোন পশুর) মুখমণ্ডলে আঘাত করিতে এবং চেহারায় দাগ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৭৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭৮। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট দিয়া একটি গাধা গমনকালে তিনি দেখিলেন, উহার মুখমণ্ডলে দাগ দেওয়া হইয়াছে। তখন তিনি বলিলেন সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহর লা'নত যে উহার মুখমণ্ডলে দাগ দিয়াছে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৭৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৭৯। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন ভোরে আমি আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু তালহাকে মিষ্টি মুখ করানোর জন্য রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে লইয়া আসিলাম। তখন আমি তাহাকে এমন অবস্থায় পাইলাম যে, তাহার হাতে ছিল একখানা দাগ লাগাইবার যন্ত্র। উহা দ্বারা তিনি ছদকা যাকাতের উটগুলিকে দাগ দিতেছেন। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪০৮০। হিশাম ইবনে যায়দ হইতে বর্ণিত, হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট গেলাম, তখন তিনি পশুর আস্তাবলে ছিলেন। আমি তাঁহাকে দেখিলাম, তিনি ছাগ-বকুরীগুলিকে দাগ দিতেছেন। (হিশাম বলেন, আমার ধারণা, হযরত আনাস (রাঃ) বলিয়াছেন, হুযূর (ছাঃ) সেই পশুগুলির কানের মধ্যেই দাগ লাগাইয়াছেন। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮১। হযরত আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন, যদি আমাদের কেহ শিকার পায় আর তাহার সঙ্গে ছুরি না থাকে, তখন সে হাল্কা ধরনের পাথর কিংবা ধারালো কোন কাঠ দ্বারা উহাকে যবাহ্ করিতে পারিবে কি? তিনি বলিলেনঃ যে কোন জিনিস দ্বারাই চাও রক্ত প্রবাহিত করিয়া দাও এবং (যবাহর সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। – আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮২। হযরত আবুল উশারা তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ গলা ও গ্রীবা ব্যতীত অন্য কোন স্থানে কি যবাহ্ করা যায় না? তিনি বলিলেনঃ যদি তুমি উহার উরুর মধ্যেও ক্ষত করিয়া দাও, উহাও তোমার জন্য যথেষ্ট হইবে। —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। তবে আবু দাউদ বলিয়াছেন, ইহা ঐ জানোয়ারের ব্যাপারে বলা হইয়াছে, যাহা নীচে কোন খাদে পড়িয়া গিয়াছে। আর তিরমিযী বলিয়াছেন, ইহা অস্বাভাবিক অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে যবাহ্ করার বিধান।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮৩। হযরত আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যেই কুকুর অথবা বাজ (পাখী)-কে শিকার ধরিবার জন্য তুমি শিক্ষা প্রদান করিয়াছ, অতঃপর (শিকার ধরিবার জন্য) তুমি উহাকে বিস্মিল্লাহ্ বলিয়া ছাড়িয়া দিয়াছ যদি সে শিকারটিকে তোমার জন্য ধরিয়া রাখে (নিজে উহার কিছুই না খায়), তখন তুমি উহা খাইতে পার। (বর্ণনাকারী বলেন,) আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, যদি সে শিকারটি মারিয়া ফেলে (তবুও কি উহা খাইতে পারিব ? তিনি বলিলেন, যখন সে শিকারটিকে মারিয়া ফেলিয়াছে এবং উহার কিছুই খায় নাই (তখন তুমি উহা খাইতে পার)। কেননা, (তাহার আচরণ হইতে বুঝা যাইতেছে যে,) সে উহা তোমার জন্যই ধরিয়াছে। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮৪। হযরত আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কোন শিকারের প্রতি তীর ছুঁড়ি এবং পরের দিন আমার তীরসহ শিকারটিকে পাই। (এমতাবস্থায় উহার হুকুম কি?) তিনি বলিলেনঃ যদি তোমার এই দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, তোমার তীরই তাহাকে মারিয়াছে এবং অন্য কোন হিংস্র জানোয়ারের দ্বারা আঘাতের চিহ্ন উহাতে না দেখ, তখন তুমি উহা খাইতে পার। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮৫। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদিগকে মজুসীর কুকুরের শিকারকৃত জানোয়ার খাইতে নিষেধ করা হইয়াছে। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮৬। হযরত আবু সা'লাবা খোশানী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা ভ্রাম্যমাণ লোক। প্রায়শ ইয়াহুদী, নাসারা এবং মজুসীদের জনপদ দিয়া যাইতে হয়, তখন আমরা তাহাদের বাসন-কোষণ ব্যতীত অন্য কিছু পাই না। তিনি বলিলেনঃ যদি তোমরা তাহাদের পাত্র ব্যতীত অন্য কোন পাত্র না পাও, তখন উহাকে খুব উত্তমরূপে পানি দ্বারা ধৌত করিয়া লও। অতঃপর উহাতে খাও এবং পান কর। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৪০৮৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০৮৭। কাবীসা ইবনে হোলব তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)কে নাসারাদের খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলাম। অপর এক রেওয়ায়তের মধ্যে আছে, জনৈক ব্যক্তি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল এবং বলিল, এমন কিছু খাদ্য আছে যাহাতে আমি সংকোচ বোধ করি। উত্তরে তিনি বলিলেনঃ খাদ্যের ব্যাপারে তোমার অন্তরে কোন প্রকারের দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নহে, অন্যথায় তুমি ইহাতে নাসারাদের সদৃশ হইয়া যাইবে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান