আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১১- শরীআতে চুরির দন্ড বিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৮৭
যে পরিমাণ জিনিস চুরি করলে হাত কাটা যাবে।
৬৮৭ । আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ একটি ঢাল চুরির অপরাধে হাত কাটার নির্দেশ দিয়েছেন, যার মূল্য ছিল তিন দিরহাম।
بَابُ: مَا يَجِبُ فِيهِ الْقَطْعُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «قَطَعَ فِي مِجَنٍّ قِيمَتُهُ ثَلاثَةُ دَرَاهِمَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৮
যে পরিমাণ জিনিস চুরি করলে হাত কাটা যাবে।
৬৮৮ । আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-র কন্যা আমরাহ্ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ -এর স্ত্রী আয়েশা (রাযিঃ) মক্কার উদ্দেশে রওনা হলেন। তাঁর সাথে ছিল দু'টি মুক্ত ক্রীতদাসী। তার সাথে আবু বাকর (রাযিঃ)-র পুত্র আব্দুল্লাহর পুত্রদের একটি গোলামও ছিল। মেয়ে দু'টির সাথে একটি মারাজিল চাদর পাঠানো হয়। একটি সবুজ কাপড়ের মোড়কে তা সেলাই করা ছিল। আমরাহ (রাহঃ) বলেন, গোলামটি সবুজ মোড়ক খুলে চাদরটি বের করে নিয়ে তদস্থলে পশমের অথবা চামড়ার পরিধেয় রেখে মোড়কটি সেলাই করে দেয়। আমরা মদীনায় পৌঁছে মোড়কে ভর্তি চাদরটি মালিকের কাছে পৌঁছে দেই। তারা মোড়ক খুলে তার মধ্যে চাদরের পরিবর্তে পশম অথবা চামড়ার পরিধেয় দেখতে পায়। মেয়ে দু'টিকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তারা উভয়ে হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বললো অথবা লিখে জানালো, এ ব্যাপারে গোলামটিকে সন্দেহ হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করে। আয়েশা (রাযিঃ) তার হাত কাটার নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তার হাত কাটা হলো। আয়েশা ((রাযিঃ) বলেন, এক দীনারের এক-চতুর্থাংশ বা তার বেশী পরিমাণ জিনিস চুরি করলে হাত কাটা যাবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَرَجَتْ إِلَى مَكَّةَ، وَمَعَهَا مَوْلاتَانِ لَهَا، وَمَعَهَا غُلامٌ لِبَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَأَنَّهُ بُعِثَ مَعَ تَيْنِكِ الْمَرْأَتَيْنِ بِبُرْدِ مَرَاجِلَ قَدْ خِيطَتْ عَلَيْهِ خِرْقَةٌ خَضْرَاءُ، قَالَتْ: فَأَخَذَ الْغُلامُ الْبُرْدَ، فَفَتَقَ عَنْهُ، فَاسْتَخْرَجَهُ، وَجَعَلَ مَكَانَهُ لِبْدًا، أَوْ فَرْوَةً، وَخَاطَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ، دَفَعْنَا ذَلِكَ الْبُرْدَ إِلَى أَهْلِهِ، فَلَمَّا فَتَقُوا عَنْهُ وَجَدُوا ذَلِكَ اللِّبْدَ، وَلَمْ يَجِدُوا الْبُرْدَ، فَكَلَّمُوا الْمَرْأَتَيْنِ، فَكَلَّمَتَا عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَوْ كَتَبَتَا إِلَيْهَا، وَاتَّهَمَتَا الْعَبْدَ، فَسُئِلَ عَنْ ذَلِكَ، فَاعْتَرَفَ، فَأَمَرَتْ بِهِ عَائِشَةُ، فَقُطِعَتْ يَدُهُ، وَقَالَتْ عَائِشَةُ: «الْقَطْعُ فِي رُبْعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৮৯
যে পরিমাণ জিনিস চুরি করলে হাত কাটা যাবে।
৬৮৯ । আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক চোর হযরত উছমান (রাযিঃ)-র খেলাফতকালে একটি জম্বির (জামির) চুরি করে। উছমান (রাযিঃ) তার মূল্য নিরূপণের নির্দেশ দেন। তার মূল্য অনুমানে তিন দিরহাম নির্ণয় করা হলো। বারো দিরহামে এক দীনার। উছমান (রাযিঃ) তার হাত কাটার নির্দেশ দিলেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কি পরিমাণ সম্পদ চুরি করলে হাত কাটা যাবে—তা নিয়ে মতভেদ আছে। মদীনার বিশেষজ্ঞ আলেমগণ বলেন, এক-চতুর্থাংশ দীনার (তিন দিরহাম) পরিমাণ চুরি করলে হাত কাটা যাবে। তারা নিজেদের মতের সমর্থনে উপরে উল্লেখিত তিনটি হাদীস পেশ করেন। ইরাকের বিশেষজ্ঞ আলেমদের মতে দশ দিরহামের কম পরিমাণ চুরি করলে হাত কাটা যাবে না। এই মতের সমর্থনে রাসূলুল্লাহ ﷺ উমার (রাযিঃ), উছমান (রাযিঃ), আলী (রাযিঃ), ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এবং আরো অনেক সাহাবা ও তাবিঈ থেকে হাদীস বিদ্যমান রয়েছে । হদ্দ (সুনির্দিষ্ট অপরাধের শাস্তি) নির্ধারণে যখন মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে, তখন বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাই গ্রহণ করা উচিত। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং হানাফী ফিকহবিদদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ ابْنَةِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ سَارِقًا سَرَقَ فِي عَهْدِ عُثْمَانَ أُتْرُجَّةً، فَأَمَرَ بِهَا عُثْمَانُ أَنْ تُقَوَّمَ، فَقُوِّمَتْ بِثَلاثَةِ دَرَاهِمَ مِنْ صَرْفِ اثْنَيْ عَشَرَ دِرْهَمًا بِدِينَارٍ، فَقَطَعَ عُثْمَانُ يَدَهُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: قَدِ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِيمَا يُقْطَعُ فِيهِ الْيَدُ: فَقَالَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ: رُبْعُ دِينَارٍ، وَرَوَوْا هَذِهِ الأَحَادِيثَ، وَقَالَ الْعِرَاقُ لا تُقْطَعُ الْيَدُ فِي أَقَلَّ مِنْ عَشَرَةِ دَرَاهِمَ، وَرَوَوْا ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَنْ عُمَرَ، وَعَنْ عُثْمَانَ، وَعَنْ عَلِيٍّ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ، فَإِذَا جَاءَ الاخْتِلافُ فِي الْحُدُودِ أُخِذَ فِيهَا بِالثِّقَةِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান