আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮০
মীকাতসমূহের বর্ণনা।
৩৮০ । আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “মদীনাবাসীগণ যুল হুলাইফা থেকে, সিরিয়ার অধিবাসীগণ আল-জুহফা থেকে এবং নজদের অধিবাসীগণ কারন থেকে হজ্জের ইহরাম বাঁধবে”। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, লোকদের ধারণা, রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেছেনঃ “ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম থেকে ইরাম বাঁধবে”।
بَابُ: الْمَوَاقِيتِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَيُهِلُّ أَهْلُ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ، وَيُهِلُّ أَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ» ، قَالَ ابْنُ عُمَرَ: وَيَزْعُمُونَ أَنَّهُ قَالَ: وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮১
মীকাতসমূহের বর্ণনা।
৩৮১। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ নির্দেশ দিয়েছেন যেঃ “মদীনাবাসীগণ যুল হুলাইফা থেকে ইহরাম বাঁধবে, সিরিয়াবাসীরা আল-জুহফা থেকে ইহরাম বাঁধবে এবং নজদবাসীরা কার থেকে ইহরাম বাঁধবে”। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, এই তিনটি মীকাতের কথা আমি সরাসরি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে শুনেছি। আমাকে জানানো হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেছেনঃ “আর ইয়ামনবাসীরা ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে”।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَنْ يُهِلُّوا مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَأَهْلَ الشَّامِ مِنَ الْجُحْفَةِ، وَأَهْلَ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ» ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: أَمَّا هَؤُلاءِ الثَّلاثِ فَسَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُخْبِرْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَأَمَّا أَهْلُ الْيَمَنِ، فَيُهِلُّونَ مِنْ يَلْمَلَمَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮২
মীকাতসমূহের বর্ণনা।
৩৮২। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাহঃ) আল-ফারআ থেকে ইহরাম বেঁধেছেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ «أَحْرَمَ مِنَ الْفُرُعِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩
মীকাতসমূহের বর্ণনা।
৩৮৩। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) ঈলিয়া (বায়তুল মুকাদ্দাস) থেকে ইহরাম বেঁধেছেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যেসব মীকাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, আমরা তা-ই অনুসরণ করি। যে ব্যক্তি হজ্জ অথবা উমরার নিয়াত করেছে তার জন্য ইরাম বাঁধা ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়। ইহরাম বেঁধেই কেবল মীকাত অতিক্রম করা যায়। ইবনে উমার (রাযিঃ) যে ফারআ নামক এলাকা থেকে ইহরাম বেঁধেছিলেন তার কারণ, যুল হুলাইফার তুলনায় এ স্থানটি মক্কার অধিক নিকটে। যুল হুলাইফার সম্মুখভাগে আল-জুহফা নামে আরো একটি মীকাত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ মদীনাবাসীদের আল-জুহফা থেকে ইহরাম বাঁধার অনুমতি দিয়েছেন। কেননা আল-জুহফাও একটি মীকাত । আমরা জানতে পেরেছি যে, নবী ﷺ বলেছেনঃ
من أحب منكم أن يستمتع بثيابه إلى الجحفة فليفعل
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল-জুহফা পর্যন্ত পোশাক-পরিচ্ছদসহ যেতে চায় সে যেতে পারে।**
এই রিওয়ায়াতটি আমরা আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর সূত্রে জানতে পেরেছি । তিনি ইসহাক ইবনে রাশেদের সূত্রে, তিনি আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনে আলীর সূত্রে নবী ﷺ -এর এ হাদীস সংগ্রহ করেছেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যেসব মীকাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, আমরা তা-ই অনুসরণ করি। যে ব্যক্তি হজ্জ অথবা উমরার নিয়াত করেছে তার জন্য ইরাম বাঁধা ছাড়া মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়। ইহরাম বেঁধেই কেবল মীকাত অতিক্রম করা যায়। ইবনে উমার (রাযিঃ) যে ফারআ নামক এলাকা থেকে ইহরাম বেঁধেছিলেন তার কারণ, যুল হুলাইফার তুলনায় এ স্থানটি মক্কার অধিক নিকটে। যুল হুলাইফার সম্মুখভাগে আল-জুহফা নামে আরো একটি মীকাত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ মদীনাবাসীদের আল-জুহফা থেকে ইহরাম বাঁধার অনুমতি দিয়েছেন। কেননা আল-জুহফাও একটি মীকাত । আমরা জানতে পেরেছি যে, নবী ﷺ বলেছেনঃ
من أحب منكم أن يستمتع بثيابه إلى الجحفة فليفعل
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল-জুহফা পর্যন্ত পোশাক-পরিচ্ছদসহ যেতে চায় সে যেতে পারে।**
এই রিওয়ায়াতটি আমরা আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর সূত্রে জানতে পেরেছি । তিনি ইসহাক ইবনে রাশেদের সূত্রে, তিনি আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনে আলীর সূত্রে নবী ﷺ -এর এ হাদীস সংগ্রহ করেছেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي الثِّقَةُ عِنْدِي، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ «أَحْرَمَ مِنْ إِيلِيَّاءَ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، هَذِهِ مَوَاقِيتُ وَقَّتَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلا يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يُجَاوِزَهَا إِذَا أَرَادَ حَجًّا إِلا مُحْرِمًا، فَأَمَّا إِحْرَامُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ مِنَ الْفُرُعِ وَهُوَ دُونَ ذِي الْحُلَيْفَةِ إِلَى مَكَّةَ، فَإِنَّ أَمَامَهَا وَقْتٌ آخَرُ وَهُوَ الْجُحْفَةُ، وَقَدْ رُخِّصَ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ أَنْ يُحْرِمُوا مِنَ الْجُحْفَةِ لأَنَّهَا وَقْتٌ مِنَ الْمَوَاقِيتِ بَلَغَنَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَسْتَمْتِعَ بِثِيَابِهِ إِلَى الْجُحْفَةِ فَلْيَفْعَلْ» ، أَخْبَرَنَا بِذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান