আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৪- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৩২
জিযয়ার বর্ণনা।
৩৩২ । যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বাহরাইনের মজুসীদের (অগ্নি উপাসক) নিকট থেকে জিয়া আদায় করেছেন। অনুরূপভাবে উমার (রাযিঃ) পারস্যের (ইরান) মজুসীদের কাছ থেকে এবং উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) বারবারদের (পশ্চিম আফ্রিকার অধিবাসী) নিকট থেকে জিযয়া আদায় করেছেন।
بَابُ: الْجِزْيَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَخَذَ مِنْ مَجُوسِ الْبَحْرَيْنِ الْجِزْيَةَ، وَأَنَّ عُمَرَ أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ فَارِسٍ، وَأَخَذَهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ مِنَ الْبَرْبَرِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৩৩
জিযয়ার বর্ণনা।
৩৩৩। হযরত উমার (রাযিঃ) রূপার মালিকদের উপর চল্লিশ দিরহাম এবং সোনার মালিকদের উপর চার দীনার বাৎসরিক জিয়া ধার্য করতেন। এর সাথে তিনি মুসলমানদের (পরিব্রাজকদের) খাদ্যের ব্যবস্থা ও তিন দিনের মেহমানদারি করারও নির্দেশ দিতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنْ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ «ضَرَبَ الْجِزْيَةَ عَلَى أَهْلِ الْوَرِقِ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا، وَعَلَى أَهْلِ الذَّهَبِ أَرْبَعَةَ دَنَانِيرَ، وَمَعَ ذَلِكَ أَرْزَاقَ الْمُسْلِمِينَ وَضِيَافَةَ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৩৪
জিযয়ার বর্ণনা।
৩৩৪। যায়েদ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। উমার (রাযিঃ)-র কাছে জিয়ার খাত থেকে অসংখ্য উট আসতো। ইমাম মালেক (রাহঃ) বলেন, আমার মনে হয় জিয়া প্রদানকারীদের কাছ থেকে জিয়া বাবদ এই উট আদায় করা হতো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, মজূসীদের কাছ থেকে জিযয়া আদায় করা সুন্নত । কিন্তু তাদের স্ত্রীলোকদের বিবাহ করা যাবে না এবং তাদের যবেহকৃত পশুর গোশতও খাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছ থেকে আমরা এই নির্দেশই পেয়েছি। হযরত উমার (রাযিঃ) কুফার দরিদ্র লোকদের উপর বারো দিরহাম, মধ্যবিত্তদের উপর চব্বিশ দিরহাম এবং ধনীদের উপর আটচল্লিশ দিরহাম জিযয়া ধার্য করেছিলেন। ইমাম মালেক (রাহঃ) যে উটের কথা বলেছেন, আমাদের জানামতে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) জিয়া বাবদ তা আদায় করতেন না, বরং একবার তিনি তাগলিব গোত্রের উপর চুক্তি মোতাবেক তাদের দেয় করের পরিমাণ দ্বিগুণ করেন। তিনি এটাকে তাদের জিয়ায় রূপান্তরিত করেন এবং উট, গরু ও মেষ-বকরীর আকারে গ্রহণ করেন।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ يُؤْتَى بِنَعَمٍ كَثِيرَةٍ مِنْ نَعَمِ الْجِزْيَةِ "، قَالَ مَالِكٌ: أُرَاهُ تُؤْخَذُ مِنْ أَهْلِ الْجِزْيَةِ فِي جِزْيَتِهِمْ، قَالَ مُحَمَّدٌ: السُّنَّةُ أَنْ تُؤْخَذَ الْجِزْيَةُ مِنَ الْمَجُوسِ مِنْ غَيْرِ أَنْ تُنْكَحَ نِسَاؤُهُمْ، وَلا تُؤْكَلَ ذَبَائِحُهُمْ، وَكَذَلِكَ بَلَغَنَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَضَرَبَ عُمَرُ الْجِزْيَةَ عَلَى أَهْلِ سَوَادِ الْكُوفَةِ، عَلَى الْمُعْسِرِ اثْنَيْ عَشَرَ دِرْهَمًا، وَعَلَى الْوَسَطِ أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ دِرْهَمًا، وَعَلَى الْغَنِيِّ ثَمَانِيَةً وَأَرْبَعِينَ دِرْهَمًا، وَأَمَّا مَا ذَكَرَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ مِنَ الْإِبِلِ، فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ لَمْ يَأْخُذِ الْإِبِلَ فِي جِزْيَةٍ عَلِمْنَاهَا إِلا مِنْ بَنِي تَغْلِبَ فَإِنَّهُ أَضْعَفَ عَلَيْهِمُ الصَّدَقَةَ، فَجَعَلَ ذَلِكَ جِزْيَتَهُمْ، فَأَخَذَ مِنْ إِبِلِهِمْ وَبَقَرِهِمْ وَغَنَمِهِمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান